চুয়াডাঙ্গায় প্রবাসীর স্ত্রীর পরকীয়ার ফাঁদে ফেলে টাকা হাতানোর চেষ্টার অভিযোগ

গড়াইটুপি প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার খাড়াগোদা ব্র্যাক শাখার বিচিত্র কুমার নামের এক কর্মকর্তার সাথে প্রবাসীর স্ত্রী পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের গুঞ্জন উঠেছে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে মায়ের অসুস্থতার অজুহাতে ছুটি নিয়ে বাসায় রয়েছেন ও কর্মকর্তা। তবে এলাকাবাসীরা বলছেন ভিন্ন কথা। সম্মানী ব্যক্তিদের টার্গেট করে ফাঁদে ফেলে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন ও নারীসহ তার এক অত্মীয় ।
পারিবারিক ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের গোস্টবিহার গ্রামের সিতাবের মেয়ে রাবিয়া খাতুন তার আপন ফুফাতো ভাই পাশ্ববর্তী কালুপোল গ্রামের মিজারের ছেলে আকাশের সাথে বিদেশ যাবার আগে বিয়ে করেন। একমাস সংসার করার পর তিনি বিদেশ চলে যান। এরপর রাবিয়া খাতুন নামের ওই মেয়ে কালুপোলের শহিদুলের ছেলে রাসেলের সাথে প্রেমজ সম্পর্ক করেন। এর কিছুদিন পরে রাসেলের মামাতো ভাই সাগরের সাথে সম্পর্ক জড়ান। ওই ঘটনার পর দুশ্চরিত্রার কারণে শ্বশুর বাড়ী বের করে দিলে তিনি বাপের বাড়ী চলে যান।
এদিকে ওই ঘটনার পরে স্থানীয় খাড়াগোদা ব্র্যাক শাখায় ঋণ নেন। ঋণের টাকা দেয়া নেয়ার একপর্যায় ব্র্যাকের প্রগতি শাখার বিচিত্র কুমারের বিরুদ্ধে পরকীয়া সম্পর্কের গুঞ্জন ওঠে। যার সূত্র ধরে ওই মেয়েকে তার বোনাই খুলনায় নিয়ে গিয়ে ওই এনজিওকর্মীকে নানারকম হুমকি ধামকি দেয়। ঘটনা ছড়ানোর আগেই বিচিত্র কুমার মায়ের অসুস্থতার কারণে বাড়িতে ছুটি যান বলে জানাগেছে। তবে তাকে ফাঁদে ফেলে মোটা অঙ্কের টাকা হাতানোর পাঁয়তারা চালানো হচ্ছে বলে জানায় এলাকাবাসী। আর এ ঘটনায় এলাকার চায়ের দোকানগুলোতে নানামুখী আলোচনা সমালোচনা চলছে। এ বিষয়ে বিচিত্র কুমারের মোবাইলে যোগাযোগ করলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে রাবিয়া খাতুনের শ্বাশুড়ি বলেন, বৌমা দুশ্চরিত্রার কারণে বাড়ী থেকে বের করে দিয়েছি। এ কারণে আমার ছেলের সাথেও আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই।
শ্বশুর মিজার হোসেন মিজা বলেন, আমার গ্রামেই রাসেলের সাথে সম্পর্ক করার পর সে রাসেলেরই মামাতো ভাইয়ের সাথে সম্পর্ক করে। এমনকি আমার গ্রামের ইউনুসের ছেলে বকুল কয়েকদিন আগে রাতে ইজিবাইক করে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়ে নিয়ে বেড়িয়েছে। আমি প্রতিবাদ করায় আমাকে মারধর করার চেষ্টা করে ও গালিগালাজ দেয়। এতোদিন চুপ করে থাকলেও এখন আর চুপ থাকবো না।
এদিকে গ্রামবাসীরা জানান, মূলত ওই দুশ্চরিত্রা মহিলাকে দিয়ে তার ভগ্নিপতি ঝিনাইদহ সদরের বৈডাঙ্গা গ্রামের মোহাম্মদ আলী বিভিন্নজনকে সম্মানহানি করে ফাঁদে ফেলে টাকা হাতানোর চেষ্টা করে থাকে। ব্র্যাকের ওই কর্মীর সাথে হয়তো এটা হয়েছে। এছাড়াও প্রেম করে বিয়ে এবং গ্রামে একাধিক ছেলেকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেছে ওই নারী তা গ্রামের অনেকেই জানে।
অপরদিকে, এ ঘটনায় স্থানীয় গড়াইটুপি ইউনিয়ন পরিষদে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন মোহাম্মদ আলী নামে ওই মেয়ের বোনাই। তাতে মেয়ের কাছ থেকে এনজিও কর্মী টাকা নিয়ে চলে গেছে বলে অভিযোগ করেন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More