কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: লোকসঙ্গীতের প্রবাদ পুরুষ বিশ্বখ্যাত মরমী বাউল শিল্পী পূর্ণদাস বাউলের কুষ্টিয়া শুভাগমন উপলক্ষে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিকেলে কুষ্টিয়া পৌরসভার উদ্যোগে বিজয় উল্লাস চত্বরে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পৌর মেয়র আনোয়ার আলীর সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন শিল্পী ফরিদা পারভীন ও শিল্পী চন্দনা মজুমদার। বাউল সম্রাট পূর্ণদাস বাউলের সফরসঙ্গী ছিলেন বাউল সম্রাট পদ্মশ্রী পণ্ডিত, পূর্ণদাস বাউলের শিষ্যশিল্পী পাপিয়া ঘোষাল, শিল্পী রাখী কর্মকার, মিউজিশিয়ান গণেশ ঘোষ, ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর প্রেসসচিব অভিজিৎ দাস গুপ্তা, গভর্নমেন্ট অব ইন্ডিয়ার ডেপুটি কমিশনার অব কাস্টমস সিতাংশু কর্মকার ও সিনিয়র রিপোর্টার সনজিৎ দত্ত। অ্যাড. লালিম হক ও সাবিনা ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া পৌর কাউন্সিলর রীনা নাসরিন, তাসলিমা খাতুন, সামসুন্নাহার (মায়া), পারভীন হোসেন, খন্দকার মাজেদুল হক, বদরুল ইসলাম, সাইফ-উল-হক মুরাদ, নজরুল ইসলাম, পিয়ার আলী জোমারত, সাবা উদ্দিন সওদাগর, গোলাম মোস্তফা লাভলু, আনিছ কোরাইশী, মতিয়ার রহমান মজনু, হেলাল উদ্দিন, ওলিউল্লাহ, শাহ জালাল, মীর রেজাউল ইসলাম বাবু, এজাজুল হাকিম প্রমুখ।
সংবর্ধিত অতিথি বিশ্বখ্যাত মরমী বাউল শিল্পী পূর্ণদাস বাউল তার বক্তব্যে বলেন, আমাকে সংবর্ধিত করায় মেয়র ও পৌর পরিষদকে জানাই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। দেশ ভাগাভাগি হলেও মানুষের ভালোবাসা, প্রেম-প্রীতি ও প্রাণের বন্ধন কোনোদিনও তফাৎ হবে না, অক্ষত থাকবে। ভারত ও বাংলাদেশ এই দুটি দেশ একই দেশ বলে আমি মনে করি। তিনি বলেন, বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ সংস্কৃতিতে দ্বিতীয় স্থানে আছে। আমি প্রথমে লালনের গান রেকর্ডিঙের মাধ্যমে আমার সঙ্গীত জীবন শুরু করি। ফকিরী মানে সবসময় নিজেকে চেনা, জানা, ভাবা ও নিজেকে বোঝার মাঝে দেশ-বিদেশে সকল মানুষকে আপন করে নেয়া যায়। সেজন্য আমি ১৫২টি দেশে গান গেয়েছি সব জায়গা লালনের গান পরিবেশন করেছি। তিনি আরও বলেন, অনেক পুরস্কার পেয়েছি কিন্তু আজ এই অনুষ্ঠানে আমাকে যে সম্মান দেখানো হয়েছে আর যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন তা আমি কখনো ভুলবো না। পরে সংবর্ধিত অতিথি ও অন্যান্য অতিথিকে ফুল ও উত্তরীয় দিয়ে বরণ করে নেন পৌর পরিষদ। মানপত্র পাঠ করেন কবি সৈয়দা হাবিবা। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শেষে সংবর্ধিত অতিথি বাউল শিল্পী পূর্ণদাস, ছোটন দাস, ফরিদা পারভীন, চন্দনা মজুমদার ও অন্যান্য শিল্পীগণ গান পরিবেশন করেন।