স্টাফ রিপোর্টার: এ দেশের শিল্প-সংস্কৃতি ও সাহিত্যের পরতে পরতে তিনি মিশে আছেন নান্দনিক ও শৈল্পিক স্বকীয়তায়। তিনি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আজ ২২ শ্রাবণ। তার ৭৯তম প্রয়াণবার্ষিকী। বঙ্গাব্দ ১৩৪৮ সালের শ্রাবণের বর্ষণমুখর এই দিনে কোলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে তিনি ইহধামের মায়া ত্যাগ করেন। তখন তার বয়স হয়েছিলো ৮০ বছর। সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে জীবনকে উপভোগ করার অভিপ্রায়ে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন, ‘মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে, মানবের মাঝে আমি বাঁচিবার চাই’। জীবনকে অনেক ভালোবাসতেন বলেই মৃত্যু নিয়ে কবির এই লেখা। বাংলা ও বাঙালি মিশে ছিলো কবিগুরুর সৃজনশীল রচনার গভীরে। যার কারণে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’। পরবর্তীতে কবির অমর এই সৃষ্টিকে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গ্রহণ করা হয়। এছাড়া ভারত ও শ্রীলঙ্কার জাতীয় সংগীতের রচয়িতাও তিনি। রবীন্দ্রনাথ ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। তাকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়। রবীন্দ্রনাথের ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস ও ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন তার জীবদ্দশায় ও মৃত্যুর অব্যবহিত পরে প্রকাশিত হয়। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনা মহামারীর সংক্রমণ ঠেকাতে এ বছর ভার্চুয়ালি পালন করা হবে কবির প্রয়াণবার্ষিকী। বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ তাদের ফেসবুক পেজে বিশেষ লাইভ সংগীতানুষ্ঠান ও আলোচনা প্রচার করবে। এছাড়া বিটিভিসহ বিভিন্ন স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলও প্রচার করবে কবির প্রয়াণবার্ষিকীর বিশেষ অনুষ্ঠানমালা।