মাথাভাঙ্গা মনিটর: বিশ্বজুড়ে করোনা আক্রান্তের ১ কোটি ১০ লাখ ছাড়িয়েছে। গত সাত মাসে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসরাটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ইনফ্লুয়েঞ্জায় প্রতি বছর যে পরিমাণ মানুষ আক্রান্ত হয় এর থেকে করোনায় দ্বিগুণ রোগী আক্রান্ত হয়েছেন। করোনা প্রকোপ দেখা দেয়ার পরই লকডাউন জারি করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। তবে অর্থনীতির কথা চিন্তা করে বেশিরভাগ দেশই লকডাউন শিথিল করেছে। এরই মধ্যে কিছু দেশে আবার নতুন করে দেখা যাচ্ছে করোনার প্রকোপ। আর এই প্রকোপ ঠেকাতে বাধ্য হয়ে আবারো লকডাউনের দিকে এগোচ্ছে সেখানকার কর্তৃপক্ষ । বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২১ সালেও হয়তো এভাবেই সরকারদের চলা লাগতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আবার বাড়তে শুরু করেছে। বিশ্বে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যার দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষে অবস্থান করছে। যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ লাখ ৯০ হাজার ৫৮৮ জন। মারা গেছে ১ লাখ ৩১ হাজার ১০১ জন। বিশ্বের সর্বমোট করোনার মৃত্যুর চার ভাগের এক ভাগই হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। এছাড়া ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলেও করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ছাড়িয়েছে। এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে ভারতে। প্রতিবেশী দেশটিতে ৬ লাখ ২৫ হাজারের বেশি করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। যতো বেশি পরীক্ষা করা হচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা ততোই বাড়ছে। কিছু দেশে করোনা টেস্ট না করাতে পারায় আক্রান্তের সঠিক সংখা জানা যাচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি তথ্য করোনা মহামারি পরিস্থিতির পুরো চিত্র তুলে ধরতে পারছে না।
বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত ৫ লাখ ২০ হাজারের মতো মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। প্রতিবছর ইনফ্লুয়েঞ্জাতেও বিশ্বে এ পরিমাণ মানুষ মারা যান বলে জানায় রয়টার্স। এ বছরের ১০ জানুয়ারি করোনা ভাইরাস নিয়ে চীনের উহান থেকে প্রথম খবর পাওয়া যায়। পরে ভাইরাসটি ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।