স্টাফ রিপোর্টার: ননদাইয়ের সাথে শ্যালকের স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্কে বাধ সাধায় পরিবারের ওপর ক্ষোভে একসাথে বিষপান করেছে অসম এ পরকীয়া জুটি। গতকাল সন্ধ্যার পর গ্রামের মাঠে ভূট্টাক্ষেতে গিয়ে তারা বিষপান করে। তবে কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। তার আগেই দুজনকে উদ্ধার করে নেয়া হয়েছে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। পরকীয়া এ জুটির নায়ক সাগর ও নায়িকা রাশিদা হাসপাতালের দু’ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের চৌধুরীপাড়ায়। দীর্ঘদিন ধরে শুনে আসা এ জুটির সম্পর্কের আকস্মিক এ বহিঃপ্রকাশে এলাকায় আলোচনার ঝড় বইছে।
জানা গেছে, দামুড়হুদার জয়রামপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে ট্রাক হেলপার সাগর (২৭) বছর দশেক আগে একই গ্রামে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে রয়েছে ৭ বছরের এক ছেলে। অপরদিকে, সাগরের মামাতো শ্যালক মামুন বছর ছয়েক আগে বিয়ে করেন একই উপজেলার উজিরপুর গ্রামের আছের আলীর মেয়ে রাশিদাকে। তাদেরও রয়েছে ৫ বছরের এক ছেলে ও তিন বছরের এক মেয়ে। রাশিদার বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই সখ্যতা গড়ে ওঠে ননদাই সাগরের সাথে। একপর্যায়ে তা পরকীয়া সম্পর্কে গড়াই। বিষয়টি জানাজানি হলে দুই পরিবারের পক্ষ থেকেই তাদের শোধরানোর জন্য বলা হয়। কিন্তু অনড় অবস্থানে থাকা সাগর-রাশিদা জুটি তাদের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি। সম্প্রতি শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপের বাড়িও চলে যায় রাশিদা। গতকাল বুধবার মোবাইলফোনে যোগাযোগের পর জয়রামপুর গ্রামের মাঠে যায় সাগর ও রাশিদা। সেখানেই তারা আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়ে দুজনে একসাথে বিষপান করে। তবে মোবাইলফোনের মাধ্যমে খবর পেয়ে তাদের নিকটাত্মীয়রা উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাগর বলেছেন, মামাতো শ্যালক মামুনের স্ত্রী রাশিদার সাথে আমার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলে পরিবারের লোকজন খুব অশান্তি করে। ফলে আমরা দুজনে সিদ্ধান্ত নিই একসাথে আত্মহত্যা করবো।
রাশিদা খাতুন বলেছেন, বছর চারেক ধরে সাগরকে নিয়ে আমার পরিবারে অশান্তি চলছে। সাগরের সাথে আমার শুধু ননদাইয়ের মতই সম্পর্ক। কিন্তু সাগরের সাথে আমার পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে বলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায়ই নির্যাতন করে। দুমাস আগে আমি বাপের বাড়ি চলে যায়। সপ্তাহখানেক শ্বশুরবাড়ি গিয়ে ৩-৪ দিনও থাকতে পারিনি। অবশেষে সাগরের সাথে মোবাইলে কথা বলে বুধবার সন্ধ্যার পর আবারও জয়রামপুরে যায়। রাতে গ্রামের মাঠে গিয়ে দুজনে একসাথে বিষপান করি।