স্টাফ রিপোর্টার : দেশে ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ২৮৮ জন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। সবমিলিয়ে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৬৭৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১ হাজার ৯৯৭ জন।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে শনিবার (৪ জুলাই) এমন তথ্য জানানো হয়।
ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৬৭৩ জন। সবমিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৭০ হাজার ৭২১ জন। শুক্রবার দেশে করোনায় সংক্রমিত ৩ হাজার ১১৪ জন শনাক্ত হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। মারা গিয়েছিলেন ৪২ জন।
ব্রিফিংয়ের তথ্যমতে, ১৪ হাজার ৭২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। এর আগের দিন ১৪ হাজার ৪৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৮ লাখ ৩২ হাজার ৭৪টি নমুনা। দেশে ৭১টি ল্যাবের (পরীক্ষাগার) মধ্যে ৬৪টির পরীক্ষার ফল পাওয়া গেছে। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্তের ঘোষণা আসে। আর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। করোনার ঝুঁকি এড়াতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে সবাইকে অনুরোধ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। অনলাইন ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি মনের উপর চাপ তৈরি করায় অনেকের নিয়মিত ঘুম ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। মহামারির সময় পর্যাপ্ত ঘুম গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনো দুর্যোগে শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে, তাদের প্রতি বিশেষ মনোযোগী হোন। নারীর প্রয়োজনের প্রতি বিশেষ অগ্রাধিকার দিন। মানসিকভবে উজ্জীবীত রাখার পথ নিজেকে খুঁজে নিতে হবে।
প্রসঙ্গত গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগীশনাক্ত হন ৮ মার্চ এবং এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। ২৫ মার্চ প্রথমবারের মতো রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানায়, বাংলাদেশে সীমিত পরিসরে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিকভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে।