স্টাফ রিপোর্টার: পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সরকারি ও বেসকারি ভবনসমূহে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শহরের উল্লেখযোগ্য স্থান ও ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশদ্বার বাংলা ও আরবিতে কালেমা তৈয়বা ও ঈদ মোবারক খচিত ব্যানার দ্বারা সজ্জিতকরণ এবং হাসপাতাল, শিশুসদন, সমন্বিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী স্কুল, কারাগার ও পুনর্বাসিত ভিক্ষুকদের মাঝে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। এসব কর্মসুচি বাস্তবায়ন করবে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা ও স্ব-স্ব কর্তৃপক্ষ।
চুয়াডাঙ্গা শহরের ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মুসল্লিদের সুবিধা বিবেচনা করে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা কেন্দ্রীয় ঈদগা তথা পৌর ঈদগাহ ময়দানে প্রথম জামাত সকাল ৮টায়, দ্বিতীয় জামাত ৯টায়, সদর উপজেলা পরিষদ চত্বর ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টা, ভি.জে স্কুলমাঠ (চাঁদমারী মাঠ, কোর্টপাড়া) সকাল ৮টায়, পুলিশ লাইন সংলগ্ন ময়দানে সাড়ে ৮টা, কারাগার সংলগ্ন ৮টা, ভি.জে স্কুল ময়দান সাড়ে ৮টায়, বুজরুকগড়গড়ি সিঅ্যান্ডবি ঈদগাহ ময়দানে ৮টায়, হাটকালুগঞ্জ পুরাতন জামে মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহে ৯টায়, কেদারগঞ্জ বেলায়েত হোসেন ঈদগাহে সোয়া ৮টায়, আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ময়দানে ৮টায়, চুয়াডাঙ্গা সিনিয়র আলিয়া মাদরাসা প্রাঙ্গনে সাড়ে ৮টায়, বুজরুকগড়গড়ি মাদরাসা প্রাঙ্গনে ৮টায়, ইসলামপাড়া গোরস্তান জামে মসজিদে ৮টায়, চুয়াডাঙ্গা পৌর কলেজ সংলগ্ন মাঠে সাড়ে ৮টায়, পলাশপাড়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে ৮টায়, খাদেমুল ইসলাম ঈদগাহে ৮টায়, বেলগাছি ঈদগাহে ৮টায়, জিনতলা মল্লিকপাড়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে সকাল ৮টা, পুরাতন গোরস্তানপাড়া জামে মসজিদে প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় ও দ্বিতীয় জামাত সোয়া ৮টায়, আল হেলাল ইসলামী একাডেমি মাঠে সাড়ে ৮টায়, নূরনগর কলোনি জামে মসজিদ সংলগ্ন মাঠে ৮টায়, নূরনগর ঈদগাহে ৮টায়, বড়বাজার জামে মসজিদে ৮টায়, জেলা মডেল মসজিদে সোয়া ৮টায়, বুজরুকগড়গড়ি বনানীপাড়া সাড়ে ৮টায়, ভিমরুল্লাহ ঈদগাহে ৮টায়, সাতগাড়ি ঈদগাহে ৮টায়, দিগড়ি ঈদগাহে সাড়ে ৮টায়, তালতলা ঈদগাহে ৮টায়, সুমিরদিয়া আল আকসা ঈদগাহে ৮টায়, শান্তিপাড়া বায়তুল শিফা জামে মসজিদ ও ঈদগাহ ময়দানে সাড়ে ৮টায় এবং মুসলিমপাড়া ঈদগাহ ময়দানে সোয়া ৮টায় ঈদের নামাজের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। বাস্তবায়ন করবে স্ব স্ব ঈদগাহ কমিটি। এছাড়া অন্যান্য স্থানে ঈদের নামাজের সময় স্ব-স্ব ঈদগাহ কমিটি নির্ধারণ করবে।
গত ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গৃহিত সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে- ঈদের জামাত যথাসম্ভব বড় করা এবং ক্ষুদ্র জামাতগুলো একসাথে করে বড় জামাতে পরিণত করার আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া বৃষ্টি হলে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঈদগাহ কমিটিকে অনুরোধ করা হয়েছে।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের স্থানগুলোসহ শহরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করার জন্য পুলিশ সুপারকে অনুরোধ করা হয়েছে। ঈদের আগের রাতে ও ঈদের ছুটিতে আনন্দ প্রকাশের নামে নাচ-গান, মাইকিং, উচ্ছৃঙ্খলতা, পটকা, আতশবাজি, রাস্তায় জিগজ্যাগভাবে মোটরসাইকেল চালানো, গেট নির্মাণ করে টাকা বা চাঁদা আদায় বন্ধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনাগুলো প্রচারের জন্য তথ্য অফিসারকেও অনুরোধ করা হয়। ঈদের আগের রাতে ঈদের জামাতের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কমিটির পক্ষে মাইকিং করা যাবে। অন্য কোনো বিষয়ে মাইক ব্যবহার করা যাবে।