অভিযুক্ত ছিনতাইকারী আলম গ্রেফতার : ভাগের টাকা উদ্ধার

দর্শনা অফিস: দর্শনা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে দামুড়হুদার বুইচিতলা-সদাবড়ি সড়কে দিনে-দুপুরে ছিনতাই মামলার অভিযুক্ত আসামি আলমকে গ্রেফতার করেছে। আলমের কাছ থেকে উদ্ধার করেছে ছিনিয়ে নেয়া ভাগের ৫৫ হাজার টাকা। সেই সাথে আলমের আরো দুসহযোগিকে গ্রেফতারে জাল বিস্তার করেছে পুলিশ।
দামুড়হুদার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ফুলবাড়ি মাঝপাড়ার নজির আহমেদের ছেলে আনোয়ার হোসেনের চুল প্রসেসিংয়ের ব্যবসা রয়েছে বরিশালের মাইলনাড়া বাজারে। রোববার সকাল ১০ টার দিকে বরিশালে চুল কেনার টাকা দেয়ার জন্য কার্পাসডাঙ্গা বাজারের ডাচ বাংলা ব্যাংকে যাচ্ছিলেন আনোয়ার হোসেন। আনোয়ারের অভিযোগে জানা গেছে, ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে কার্পাসডাঙ্গায় যাওয়ার সময় বুইচিতলা-সদাবড়ি নির্জন সড়কে গতিরোধ করে মুখোশধারী ৩ ছিনতাইকারী। তাকে ধারালো অস্ত্রের মুখে নেয়া হয় উসমানপুর বেদেপোতা মাঠে। নির্জন মাঠের একটি মেহগনি বাগানে অস্ত্রের মুখে আনোয়ারের কাছে থাকা ২ লাখ ১৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। আনোয়ার বলেন, মুখোশধারী ছিনতাইকারী নির্জন মাঠের মেহগনি বাগানে গিয়ে তাদের মুখোশ খুলে ফেললে তাদের চিনতে পারেন। ছিনতাইকারীদের মধ্যে ছিলো কুড়ুলগাছি হাই স্কুলপাড়ার ইসমাইল (৪০), একইপাড়ার নূহু মোল্লার ছেলে আলমগীর ওরফে আলম (৩৫) ও বুইচিতলা গায়েনপাড়ার হামিদ গায়েনের ছেলে হান্নান গায়েন (৫০)। এ ঘটনায় আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে রোববার রাত ১১ টার দিকে দশর্না থানায় আলম, ইসমাইল ও হান্নানের বিরুদ্ধে ছিনতাই মামলা দায়ের করেন। গতকাল বুধবার রাত ৯ টার দিকে থানার ওসি মাহাব্বুর রহমান কাজলের নেতৃত্বে এসআই সাইফুল ইসলাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে কুড়ুলগাছি থেকে গ্রেফতার করেন আলমকে। গ্রেফতারকৃত আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করে। আলমের স্বীকারোক্তিতে পুলিশ রাতেই ছিনতাইয়ের ভাগের টাকার মধ্যে ৫৫ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে। সেই সাথে আলমের আরো ২ সহযোগীকে গ্রেফতারে জাল বিস্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত ছিনতাইকারী আলমের বিরুদ্ধে এলাকায় অভিযোগের অন্ত নেই। আলম নিজেকে যেমন সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে থাকে, তেমনই পুলিশ-বিজিবির সোর্স পরিচয়ে নানা অপকর্ম করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এলাকাবাসীর দাবি, আলমকে জিজ্ঞাসাবাদে বহু অপরাধীর নাম পরিচয় উন্মোচন হবে।

Comments (0)
Add Comment