আন্তর্জাতিক মুদ্রা মার্কিন ডলার নিয়ে উভয় সংকটে পড়েছে বাংলাদেশ। কারণ ডলার দিয়ে মেটাতে হয় সব ধরনের আমদানি দায়। আর ডলার আয় হয় মূলত রপ্তানি ও প্রবাসী আয় দিয়ে। তবে যে ডলার আয় হচ্ছে তা দিয়ে ব্যয় মিটছে না। এতে বেড়ে গেছে ডলারের দাম। যার প্রভাব পড়েছে আমদানিসহ সব ধরনের পণ্যের দামে। গত এক দশকে এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়নি বাংলাদেশকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দর পুরোপুরি বাজারের ওপর ছেড়েও দিতে পারছে না, আবার মূল্যমান ধরেও রাখতে পারছে না। প্রশ্ন উঠেছে মুদ্রার মান নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি ও কৌশল বিষয়ে। কারণ টাকার মান ধরে রাখতে গিয়ে সংকট আরও তীব্র হয়েছে। এতে কমে গেছে বৈধ পথে প্রবাসী আয়। এ মুহূর্তে ডলার নিয়ে কারসাজিকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে সরকার। সরকারের একাধিক সংস্থা সব ব্যাংক, আর্থিক ও মুদ্রা বিনিময় (মানি এক্সচেঞ্জ) প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের ডলার লেনদেনের তথ্য খতিয়ে দেখছে। ইতোমধ্যে ছয় ব্যাংকের এমডিকে নোটিস দেয়া হয়েছে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর থেকে দেশে ডলারের সংকট তৈরি হয়। এ সংকট কাজে লাগিয়ে কিছু ব্যাংক ও মুদ্রা বিনিময় প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত মুনাফার জন্য ডলার মজুদ শুরু করে। কোনো কোনো ব্যাংক ডলার কেনাবেচা করে এক মাসে ৪০০ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা করেছে। যার মাধ্যমে ডলারের বাজার আরও অস্থিতিশীল করে তোলা হয়। বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ডলারকে বৈশ্বিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে। তবে যাতে বেশি বেড়ে বা কমে না যায় এজন্য তদারকি জোরদার করতে হবে। আর অর্থনৈতিক বিষয় রাজনৈতিক বা অন্য কোনো চাপে নির্ধারণ না করাই শ্রেয়। এজন্য প্রবাসী আয়ে প্রণোদনা সাময়িক সময়ের জন্য বাড়ালে সংকট কিছুটা কাটবে।