জীবননগর ব্যুরো: উপজেলার মিনাজপুর গ্রামে দুর্ধর্ষ ডাকাতি ঘটনার ৪ দিনের মাথায় ডাকাতির তথ্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। এ ঘটনার সাথে জড়িত আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দারসহ ২ জনকে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় তাদের নিকট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ডাকাতি হওয়া টাকার একটি অংশ। প্রেস ব্রিফিংকালে গ্রেফতার ডাকাত সর্দার মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার খবির সরদার (৫৫) ও মহেশপুর উপজেলার জনি শেখকে (৩৫) সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত করা হয়। সাংবাদিকদের নিকট খবির সরদার নিজে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। গতকাল দুপুরে জীবননগর থানায় প্রেস ব্রিফিঙে এ তথ্য সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন সার্কেল (দামুড়হুদা-জীবননগর) এএসপি আবু রাসেল।
প্রেস ব্রিফিংয়ে সহকারী পুলিশ সুপার আবু রাসেল জানান, গত ২৭ জনু রাতে ৬-৭ জনের ডাকাত দল পাঁচিল টপকে মিনাজপুর গ্রামের মৃত মোক্তার হোসেনের ছেলে হামিদুজ্জামান টিটুর বাড়িতে প্রবেশ করে। এসময় তারা দেশীয় অস্ত্রের মুখে পরিবারের সকলকে জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণ ও রূপার গয়না এবং ৫টি মোবাইল সেটসহ ২ লাখ ৮৩ হাজার ৮০০ টাকার মালামাল লুট করে। চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের নির্দেশে এএসপি আবু রাসেলের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে ৪ দিনের মাথায় ডাকাতির তথ্য উন্মোচিত করতে সক্ষম হয়। জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম, ওসি (তদন্ত) ফেরদৌস ওয়াহিদ ও ওসি (অপারেশন) এমএম সেলিমের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার নতুন চর দৌলতখান গ্রামের আব্দুল আজিজ সরদারের ছেলে ডাকাত সর্দার খবির সরদারকে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার গোয়ালহুদা গ্রামের হানিফ ড্রাইভারের বাড়ি থেকে লুটকৃত টাকার মধ্যে ৩ হাজার টাকাসহ ও মহেশপুর উপজেলার পুরন্দপুর গ্রামের মৃত শেখ নজরুল ইসলামের ছেলে জনি শেখকে তার শ^শুরবাড়ি একই উপজেলার বাথানগাছি গ্রামের বদর শেখের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। ডাকাতির সাথে জড়িত অন্য সদস্যদের নাম পাওয়া গেছে। তাদের গ্রেফতারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, ডাকাতি সংঘটিত করার পর ডাকাতদল কাটাপোল গ্রামের দিকে পালিয়ে যায়। এরপর তারা সেখানে বসে লুটের টাকা, গয়না ও মোবাইল সেট ভাগাভাগি করে। ডাকাতি কাজে জড়িত সহযোগিদের নিয়ে যাওয়ার জন্য মহেশপুরের পুরন্দপুর গ্রামের জনি শেখ পূর্ব হতে তার আলমসাধু নিয়ে অপেক্ষা করছিলো। ভাগাভাগি শেষে তারা জনি শেখের আলমসাধুযোগে পালিয়ে যায়। ভোররাতে পালানোর এ সূত্র ধরেই পুলিশ এ ডাকাতির তথ্য উন্মোচন করতে সক্ষম হয়। এ ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদের গ্রেফতার করতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে বলে তিনি জানান। এদিকে ঘটনার মাত্র ৪ দিনের মাথায় পুলিশ দুর্ধর্ষ এই ডাকাতির তথ্য উদঘাটনসহ জড়িত ডাকাত সদস্যদের গ্রেফতার ও লুন্ঠিত টাকার কিছু অংশ উদ্ধার করায় পুলিশকে সাধুবাদ জানানো হয়েছে।