চুয়াডাঙ্গায় নতুন ৩১ জনের নমুনা পরিক্ষায় ১১ জনের করোনা শনাক্ত

জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১১২ জনে : সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৭ জন

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার ৬ পুলিশ সদস্যসহ ১১ জন নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১১২ জনে। শুক্রবার রাতে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব থেকে এ রিপোর্ট চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে আসে। এদিকে, ৩১ জনের নমুনা পরিক্ষায় ১১ জন করোনায় আক্রান্তের খবরে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে চুয়াডাঙ্গার সাধারণ মানুষের মধ্যে।

চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাব থেকে ৩১ জনের নমুনার ফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দর্শনা থানা পুলিশের পাঁচজন এসআই ও একজন কনস্টেবল ও আলমডাঙ্গা উপজেলায় ঢাকা থেকে আসা পাঁচজনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। দর্শনা থানা পুলিশের ৬ সদস্য ছাড়া বাকি পাঁচজনের বাড়ি আলমডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। তারা সম্প্রতি ঢাকা, নারায়নগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে ফিরেছেন। নতুন আক্রান্তদের পাঁচজন হোম আইসোলেশনে ও পুলিশের ছয়জন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। জেলার চারটি উপজেলায় এ পর্যন্ত ১১২ জন রোগীর শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তারেক বলেন, দর্শনা থানার ওসিসহ তিনজন ২৯ মে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। এরপর পাঁচজন এসআই ও একজন কনস্টেবলের করোনা পজিটিভ এসেছে। তাদেরকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।

দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ মাহবুবুর রহমান জানান, থানার আক্রান্ত ৬ জনের মধ্যে রয়েছেন, সেকেন্ড অফিসার এসআই জাকির হোসেন, এসআই শরিফুল ইসলাম, জাকির হোসেন, মাহমুদুল হক, পিএসআই সোয়াদ ও কনস্টেবল আলাউদ্দিন। প্রত্যেককেই চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া, গত ২৬ মে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহব্বুর রহমান কাজল। এর দুদিন পর দর্শনা থানার কনস্টেবল নারায়নের করোনা পজেটিভ রিপোট পাওয়া যায়। তারপর দর্শনা থানার প্রত্যেকের নমুনা সংগ্রহ করে পরিক্ষার জন্য পাঠানো হয়। ২৬ মে আক্রান্ত হওয়া দর্শনা থানার ওসি মাহব্বুর রহমান কাজল বর্তমানে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা জেলায় মোট ১১২ জন নারী-পুরুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৭৭ জন। মারা গেছেন একজন। আর উন্নত চিকিৎসার জন্য একজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সংক্রমিত জেলা বিশেষ করে নারায়নগঞ্জ, গাজীপুর ও ঢাকা থেকে ফেরা মানুষের কারণে জেলায় অন্যরা সংক্রমিত হচ্ছেন। তাদের সংস্পর্শে এসে প্রতিদিনই মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, করোনায় ঘর থেকে বের না হলে এই রোগের সংক্রমণ হবে না। জরুরী প্রয়োজনে বের হলে অবশ্যই মুখে মাস্ক, হাতে গ্লোভস পরে বের হতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত রেখে চলাচল করতে হবে।

Comments (0)
Add Comment