মাথাভাঙ্গা ডেস্ক:
দেশের পথে-প্রান্তরে পতপত করে উড়েছে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত লাল-সবুজের রক্তস্নাত জাতীয় পতাকা। আর এ পতাকা জানান দিয়েছে একটি স্বাধীন দেশের জন্মদিনের কথা, যে দেশটি অর্জনে ত্রিশ লাখ মানুষকে আত্মবলিদান দিতে হয়েছে। বেজেছে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা সংবলিত ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ। স্বাধীনতার ৫১ বছর পার করেছে বাংলাদেশ, কিন্তু জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা এখনও পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। মহার্ঘ্য স্বাধীনতা দিবসে শনিবার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নতুন শপথ নিয়েছে কৃতজ্ঞ বাঙালি জাতি। দীর্ঘ সংগ্রামের পথ বেয়ে অর্জিত স্বাধীনতার ৫১ বছর পূর্তি উদযাপন করলো বাংলাদেশ, যে দেশের মানুষের সামনে এখন সোনালি ভবিষ্যত। তাই দেশের জন্মদিনে এক অন্য রকম স্বস্তি, আনন্দ ও শপথে জেগে উঠেছিলো বাঙালি। করোনা মহামারী কিছুটা কমে আসায় দেশের ৫২তম স্বাধীনতা এবং জাতীয় দিবসে শনিবার এক অন্য রকম আনন্দ-উৎসবে মেতেছিলো গোটা দেশ। ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তস্নাত লাল-সবুজের পতাকা হাতে স্বাধীনতা দিবসে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলের কণ্ঠেই ধ্বনিত হয়েছে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ-সা¤প্রদায়িকতামুক্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশের প্রত্যাশার কথা। কালরাতের আঁধার পেরিয়ে আত্মপরিচয় অর্জন ও পরাধীনতার শিকল ভাঙ্গার ৫১ বছর পূর্তির দিনটি বাঙালি জাতির হৃদয়ের গভীরতা থেকে শ্রদ্ধার সঙ্গেই উদযাপন করেছে নানা অনুষ্ঠানমালায়। শনিবার দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয়ে জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের। একত্রিশবার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ৫১ বছর পূর্ণ করা বাংলাদেশে এবার স্বাধীনতা দিবস এসেছে নতুন অনুষঙ্গ নিয়ে। জাতির সামনে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে আরও এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন পূরণে প্রতিটি অনুষ্ঠানেই ছিল স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির বিষদাঁত ভেঙে দিয়ে অসা¤প্রদায়িক উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের দৃঢ় শপথ। করোনা মহামারীর কারণে গত দু’বছর নানা বিধিনিষেধ থাকলেও এবার তেমনটি ছিলো না। তাই এবার দেশের জন্মদিনে মানুষের বাঁধভাঙ্গা ঢল থেকে স্বাধীনতাবিরোধীদের মূলোৎপাটনের দৃপ্ত শপথে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বীর শহীদদের প্রতি। রাস্তায় বের হওয়া শিশু-কিশোর ও তরুণদের হাতে শ্রদ্ধার ফুল, কারও গালে কিংবা কপালে আঁকা ছিলো রক্তস্নাত জাতীয় পতাকা, প্রিয় মাতৃভ‚মির মানচিত্র। তরুণ প্রজন্মের ছেলেদের গায়ে জাতীয় পতাকাসদৃশ্য শর্ট পাঞ্জাবি বা গেঞ্জি এবং মেয়েদের পরনে লাল-সবুজের মিশ্রণে জাতীয় পতাকার মতো শাড়ি। সবাই অংশ নিয়েছিলেন এবারের স্বাধীনতা দিবসের আনন্দ-উৎসবে। রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে তরুণ প্রজন্মরা শুনেছে তাদের বীরত্বগাথা ইতিহাস, জেনেছে একাত্তরে রাজাকা, আল-বদর, আল-শামসদের গণহত্যা, মা-বোনদের সম্ভ্রমহরণ ও বুদ্ধিবীজীদের হত্যার কালো ইতিহাস।
দিবসটি উপলক্ষে গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরসহ সারাদেশে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি ও বেসরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, জাতির শান্তি সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে দুপুরে মসজিদে দোয়া ও সুবিধামত সময়ে মন্দিরে ও গীর্জায় দোয়া করা হয়। এছাড়া হাসপাতাল, জেলখানা ও এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভবনে আলোকসজ্জা, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী, মুক্তিযোদ্ধা ভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যেদিয়ে দিবসটি পালিত হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গায় দিবসটি উপলক্ষে গতকাল শনিবার সকাল ৬টায় ৩ মিনিটে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের শুভ সূচনা হয়। এরপর বড় বাজার শহীদ হাসান চত্বরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান ও পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম। এছাড়া জেলা পরিষদ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, পৌরসভার মেয়র, সদর উপজেলা পরিষদ, জেলা আইনজীবী সমিতি, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন, এডাব চুয়াডাঙ্গা এবং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে সকাল ৮টায় পুরাতন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করে সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ডিসি সাহিত্য মঞ্চে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারকে সংবর্ধনা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার মেজর (অব.) খোন্দকার সাইদুর রহমান বীর প্রতীক ও সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হোসেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের মধ্যে নগদ অর্থ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা বিচার বিভাগে উদ্যোগে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। এরপর জেলা জজ আদালত ভবনের সম্মেলন কক্ষে চুয়াডাঙ্গার বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ জিয়া হায়দারের সভাপতিত্বে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন, কর্ম ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ লুৎফর রহমান শিশির, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী, সিনিয়র সহকারী জজ ছানাউল্লাহ, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোকাইয়া বিনতে খালেক, জোহরা খাতুন ও সহকারী জজ ইব্রাহিম খলিল। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সেলিম উদ্দীন খান ও সাধারণ সম্পাদক তালিম হোসেন ও পাবলিক প্রসিকিউটর বেলাল হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার সাইফ উদ্দীন হোসাইন (সিনিয়র সহকারী জজ)। এছাড়া খেলাধুলা ও শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার প্রদান করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগ সকাল সাড়ে ৬টায় দলীয় কার্যালেয় জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয়। বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনাসভার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের অ্যাড. শামসুজ্জোহা ও হাবিবুর রহমান লাভলু, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান ও মুফতি মাসুদুজ্জামান লিটু বিশ্বাস, দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. আবু তালেব বিশ্বাস, কোষাধ্যক্ষ আলী রেজা সজল, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আরশাদ উদ্দীন আহমেদ চন্দন, বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. তালিম হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য ও জেলা জজ আদালতের বিজ্ঞ পিপি অ্যাড. বেলাল হোসেন, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এবিএম জহুরুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন হেলা, জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি মো. আফজালুল হক বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক রিপন মণ্ডল, জেলা কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তহিদুর রহমান চন্দন ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কবির, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা নুরুন্নাহার কাকলী, জাতীয় মহিলা সংস্থার সভাপতি নাবিলা রুকসানা ছন্দা, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহাজাদি মিলি, পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া শাহাব, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আফরোজা পারভীন, সাধারণ সম্পাদক গিণি ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহানারা খাতুন, সাবেক যুবলীগের আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু, যুবলীগ নেতা আব্দুল কাদের, সিরাজুল ইসলাম আসমান, আব্দুর রশিদ, রেজাউল করিম, শেখ সেলিম, শাকিল আহমেদ টিপু, আব্দুস সালাম, গালিব, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সাহাবুল হোসেন, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাফিজুর ইসলাম লাল্টু, ছাত্রলীগ নেতা রাজু আহমেদ, সোয়েব রিগান, মোমিন, মিন্টু, সোহেল আহমেদ, রকি, রানা, রিয়ন প্রমুখ। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আতশবাজি ফোটানো হয়।
চুয়াডাঙ্গায় জেলা যুবলীগের নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করা হয়েছে। সকালে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় সংগীতের তালে তালে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পতাকা উত্তোলন করেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান জিল্লু। পতাকা উত্তোলন শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এ সময় ২৫ মার্চ কালো রাতে নিহত ও মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয় দোয়া পরিচালনা করা হয়। এরপরই যুবলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার শহীদ হাসান চত্বরে অবস্থিত শহীদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মধ্যদিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবলীগের যুগ্মআহ্বায়ক জিল্লুর রহমান, জেলা যুবলীগের সদস্য সাজেদুল ইসলাম লাভলু, আবু বক্কর সিদ্দিক, হাফিজুর রহমান হাপু, আজাদ আলী, আলমগীর আজম খোকা, পৌর ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি রানা, সাধারণ সম্পাদক খান জাহান, ৫নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আলিম, সাধারণ সম্পাদক মিঠুন, ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি আসাদ, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব, যুবলীগ নেতা মাসুদুর রহমান মাসুম, শেখ শাহি, পিরু মিয়া, বিপ্লব হোসেন, আল ইমরুন শুভ, পলেন, সামিউল শেখ সুইট, লোকমান, রনি, শাকিব, ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার, ইমরান, মিলন, কোবির, সৌরভ, মাহফুজ, হাসিব, আরাফাত, রাজা, কাজল, সজীব প্রমুখ।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি সকালে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে। পরে শহীদ হাসান চত্বরের শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন বিএনপি ও সকল অংগসংগঠনের নেতাকর্মী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. সিরাজুল ইসলাম মনি, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রউফউর নাহার রীনা, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক আবু, রাফাতুল্লাহ মহলদার, নূর নবী সামদানি, জেলা বিএনপির বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা আবুল কালাম আজাদ, ইনতাজ আলী, ইয়াছিন হাসান কাকন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম পিটু, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশীদ ঝন্টু, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জাহানারা পারভীন, জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিমুল হাবিব সেলিম, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মালিক সুজন আহমেদ, অর্থসম্পাদক মো. মোমিনুর রহমান মোমিন, গ্রাম বিষয়ক সম্পাদক ইকরামুল হক ইকরা, জেলা যুবদলের সদস্য মহাবুল ইসলাম মাহবুব, হাবিবুর রহমান জোয়ার্দার মানিক, জেলা মৎসজীবি দলের আহবায়ক আবুবকর সিদ্দিক বকুল, যুগ্মআহবায়ক কামরুজ্জামান বাবলু, জেলা ওলামা দলের সদস্য সচিব মো. আনোয়ার হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি হাফিজুল ইসলাম মুক্ত, সদর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক এমএইচ মস্তফা, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক এমএ হাসান, পৌর যুবদলের আহবায়ক আজিজুর রহমান সদস্য সচিব বিপুল হাসান হ্যাজি, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক রুবেল হাসান, ইনামুল হক ইমন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. শাহাজাহান খান, সহ-সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ, রাকিব হাসান।
চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের পক্ষে শহীদ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি কবি নজমুল হেলাল, সহ-সভাপতি গোলাম কবীর মুকুল, অর্থ সম্পাদক আনসার আলী, দপ্তর সম্পাদক সুমন ইশবাল প্রমুখ।
ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ডিঙ্গেদহ বাজারস্থ দলীয় অফিসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান নান্নু, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদত হোসেন, শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান, সাংগাঠনিক সম্পাদক শওকত মাহামুদ। অপরদিকে ডিঙ্গেদহ সোহরাওয়ার্দ্দী স্মরণী বিদ্যাপীঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাজি হাবিবুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন শংকরচন্দ্র ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান। এছাড়াও ডিঙ্গেদহ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও উদীচী ডিঙ্গেদহ শাখা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। এদিকে ডিঙ্গেদহ দাখিল মাদরাসায় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি জাকির হোসেন জোয়ার্দ্দার বাবুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মাদরাসা সুপার ইসমাইল হক।
বেগমপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গার হিজলগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি সাইফুল আজম মিন্টু।
সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জ তেতুল শেখ কলেজে আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রভাষক খাইরুল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য জালাল উদ্দিন মহর। সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে আলোচনাসভা উপস্থিত ছিলেন পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাজি মজিবর রহমান, কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলি আহম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিক, সরোজগঞ্জ ক্যাম্প ইনচার্জ ইন্সপেক্টর শিকদার মতিয়ার রহমান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আকবর আলী। ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ। প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হাফিজুর রহমান। আননুর ইসলামী একাডেমি উদ্যোগে র্যালি বের করা। র্যালিতে অংশ নেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক বকুল হোসেন সাংবাদিক জিয়াউর রহমানসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ। বদরগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলেজে পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আলি আহম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিক, অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম। এছাড়া বদরগঞ্জ আলিয়ারপুর আজিজ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাজি আব্দুল মোতালেব। উপস্থিত ছিলেন পরিচালনা কমিটির ইউপি চেয়ারম্যান আলি আহম্মেদ হাসানুজ্জামান মানিক, প্রধান শিক্ষক আলা উদ্দিন প্রমুখ।
আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, আলমডাঙ্গায় বধ্যভূমিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূর ও আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে পূষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এরপর সকাল ৮টায় আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় সংগীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূর ও আলমডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম। এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু মুছা, পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. সালমুন আহমেদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সাহাবুদ্দিন আহমেদ সাবু, জেলা সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আব্দুর রশিদ মোল্লা, বীর মুক্তিযোদ্ধা অগ্নিসেনা মঈনুদ্দীন আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ জকু, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার আব্দুল কুদ্দুস, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান লাল্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, সরকারি ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোলাম সরোয়ার মিঠু, সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান, বণিক সমিতির সভাপতি আরেফিন মিয়া মিলন, সম্পাদক কামাল হোসেন প্রমুখ। সকাল ৯টায় বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, সিভিল ডিফেন্স, স্কাউটের কুচকাওয়াজ প্রদর্শিত হয়। অনুরূপে আলমডাঙ্গা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড সম্মিলিত ও পৃথক কর্মসূচি পালনের মধ্যদিয়ে দিনটি পালন করে।
সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা মঞ্চে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. সালমুন আহমেদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, উপজেলা সহকারী কমিশনার রেজওয়ানা নাহিদ, আলমডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সাহাবুদ্দিন আহমেদ সাবু, বীর মুক্তিযোদ্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আব্দুর রশিদ মোল্লা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক পৌর মেয়র এম. সবেদ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা অগ্নিসেনা মইন উদ্দীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ নূর মোহাম্মদ জকু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার।
অপরদিকে, বিকেলে সাড়ে ৪টায় আলমডাঙ্গা পৌরসভা কর্তৃক প্রস্তাবিত শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়। ফুটবল খেলায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বনাম বণিক সমিতি ও সুধীজন বনাম কর্মকর্তা ও শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। খেলা শেষে সংক্ষিপ্ত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত শেষে সকল খেলোয়াড়কে পৌর মেয়র পুরস্কৃত করেন।
এদিকে আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, মৎস্যজীবী লীগ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, শ্রমিকলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মুছা, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আব্দুল রশিদ মোল্লা, প্রশান্ত অধিকারী, জেলা আওয়ামী লীগ বন ও পরিবেশ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান ফারুক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলহাজ লিয়াকত হোসেন লিপু মোল্লা, পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. অমল কুমার বিশ^াস, সাংগঠনিক সম্পাদক আতিয়ার রহমান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অ্যাড. সালমুন আহমেদ ডন, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক সাইফুর রহমান পিন্টু, পৌর আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ডালিম রানী, সাবেক পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।
আলমডাঙ্গায় যুবলীগের আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন সোনাহার, যুগ্ম আহ্বায়ক খাসকররা ইউপি চেয়ারম্যান তাফসির আহমেদ মল্লিক লাল, পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক আসাদুল হক ডিটু প্রমুখ।
আলমডাঙ্গা সরকারি ডিগ্রি কলেজ, আলমডাঙ্গা মহিলা ডিগ্রি কলেজ, আলমডাঙ্গা পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় বিদ্যালয়, এরশাদপুর একাডেমি, পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, এম. সবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পল্লি বিদ্যুৎ, কাপড়পটি সমিতি, আলমডাঙ্গা ওজোপাডিকো, পৃথক কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে।
হাটবোয়ালিয়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আলমডাঙ্গার হাটবোয়ালিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, হাটবোয়ালিয়া স্কুল এন্ড কলেজ, হাটবোয়ালিয়া নতুন কুঁড়ি আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং হাটবোয়ালিয়া বাজার কমিটি পৃথক পৃথকভাবে মহান স্বাধীনতা দিবস পালন করেছে।
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আলমডাঙ্গার জেহালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান উজ্জামান হান্নান, সহসভাপতি হেলাল উদ্দিন, আনছার আলী মাস্টার, ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান মাস্টার প্রমুখ। এছাড়া জেহালা ইউনিয়ন যুবলীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবলীগের সদস্য সালাউদ্দিন মণ্ডল, ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক মখলেছুর রহমান শিলন, যুগ্মআহবায়ক হারুন অর রশিদ বকুল প্রমুখ।
অপরদিকে, মুন্সিগঞ্জ একাডেমির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল হান্নান মাস্টার, প্রধান শিক্ষক আতিয়ার রহমান, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হেলাল উদ্দিন, সোহেল তিতুমীর প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সহকারী শিক্ষক জামান লিঙ্কন।
এছাড়া সৃজনী মডেল বিদ্যাপীঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাসান উজ্জামান হান্নান, প্রধান শিক্ষক আহাদ আলী মোল্লা, সহকারী প্রধান শিক্ষক আতিকুর রহমান বুলবুল প্রমুখ।
আসমানখালী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আলমডাঙ্গার ভোগাইল বগাদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সিরাজুল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালানা কমিটির সভাপতি আব্দুস সালাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন আসমানখালী পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ নাসির উদ্দীন খাঁন, ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজিবুর রহমান প্রমুখ। অপরদিকে, শালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশাবুল হক। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য গাংনী ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিকুল হাসান।
অপরদিকে, দামুড়হুদা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের আয়োজনে আলোচনাসভায় সাব- রেজিস্ট্রার নফিয বিন যামান। উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সাধারণ সস্পাদক বখতিয়ার হোসেন বকুল, উপজেলা দলিল লেখক সমিতির যুগ্মসস্পাদক মোমিনুল ইসলাম মনির, নূর আলম লাভলু, অর্থ সম্পাদক শমশের আলী, সাবেক সহসভাপতি সাইদুর রহমান প্রমুখ।
দামুড়হুদা অফিস জানিয়েছে, দামুড়হুদায় গতকাল শনিবার প্রত্যুষে চৌরাস্তার মোড়ে ৩১বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা হয়। সকাল ৭টায় দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে নাটুদহ আটকবরের শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসন, দামুড়হুদা মডেল থানা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, দামুড়হুদা-দর্শনা থানা, ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এ সময় শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ৮টায় দামুড়হুদা শেখ রাসেল স্টেডিয়ামে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান আলি মুনছুর বাবু। পরে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলি মুনছুর বাবু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তার ও দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ, দর্শনা থানার ওসি এএইচএম লুৎফুল কবীর। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আছির উদ্দীন, বীর মুক্তিযোদ্দা রুস্তম আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা তমছের আলী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সহিদুল ইসলাম, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদা খাতুন, দামুড়হুদা সদর ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুদীপ্ত কুমার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মতিন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাকী সালাম, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল কবির ইউসুফ, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড.আবু তালেব, সেলিম উদ্দীন বগা প্রমুখ। বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব ও সূবর্ণজয়ন্তীর উন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তার। প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলি মুনছুর বাবু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মাহফুজুর রহমান মনজুু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি সহিদুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুদীপ্ত কুমার। বিকেলে দামুড়হুদা স্টেডিয়াম মাঠে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এদিকে, দামুড়হুদার নতিপোতা ইউনিয়ন পরিষদে আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন নতিপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়ামিন আলী।
অপরদিকে, নতিপোতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক মোমিনুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন নতিপোতা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন নতিপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়ামিন আলী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জুলফিকার আলী ভুট্টো, ইউনিয়ন ¯ে^চ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মতিয়ার রহমান মতি প্রমুখ। দিনব্যাপী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে নতিপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কালিয়াবকরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ভগিরথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
দর্শনা অফিস জানিয়েছে, দর্শনায় সকালে পৌর আ.লীগ কার্যালয়, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, কেরুজ, সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জাতীয়, দলীয় ও সাংগঠনিক পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দর্শনা পৌরসভার আয়োজনে কেরুজ বাজার মাঠে সমবেত হয়। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক অ্যাড. শহিদুল ইসলাম শপথবাক্য পাঠ করানোর পরপরই বের করা হয় বর্ণাঢ্য র্যালি। পরে কেরুজ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। সেখানে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভায় পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানের উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মনজু, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মজনুর রহমান, রুস্তম আলী, সবুর আলী, বদরুল আলম ফিট্টু, জাহাঙ্গীর আলম, আ.লীগ নেতা হাজি এরশাদ আলী, মোমিনুল ইসলাম, আতিয়ার রহমান হাবু, অ্যাড মুন্সি সিরাজুল ইসলাম, বিল¬াল হোসেন, যুবলীগ নেতা আব্দুল হান্নান ছোট, সোলায়মান কবির, আব্দুস সালাম ভুট্টো, শেখ আসলাম আলী তোতা, ছাত্রলীগ নেতা আরিফ মল্লিক, রফিকুল ইসলাম ববি, নাহিদ পারভেজ প্রমুখ। এদিকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দর্শনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মনজু, কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. মফিজুর রহমান, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক জমশেদুর রহমান, দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ এএইচএম লুৎফুল কবীর প্রমুখ। সকাল ৯টার দিকে কেরুজ ক্লাব মাঠে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশারফ হোসেন, মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) শেখ শাহাব উদ্দিন, শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ সবুজ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান প্রমুখ। এছাড়া দর্শনা পৌর বিএনপির সমš^য় কমিটির সদস্য হাজি শওকত আলী ও এনামুল হক শাহ মুকুলের নেতৃত্বে র্যালি বের করা হয়। স্মৃতি স্তম্ভে পুস্পমাল্য অর্পণ করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা।।
অপরদিকে, দু’দেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও বন্ধুত্ব সুদৃঢ় করার লক্ষে স্বাধীনতা দিবসে দর্শনা জয়নগর সীমান্তে মিষ্টি ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-বিএসএফ।
কার্পাসডাঙ্গা/ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুডহুদার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন আ.লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল কাদের বিশ্বাস। প্রধান অতিথি ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস। উপস্থিত ছিলেন কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগে সাধারণ সম্পাদক নজির আহমেদ, যুগ্মসম্পাদক আব্দুস সালাম বিশ্বাস, সাংগাঠনিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান মুকুল, মখলেসুর রহমান রিপন, যুবলীগ নেতা মোস্তাফিজ কচি, হুমায়ন কবির বেল্টু প্রমুখ। এদিকে কার্পাসডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ, মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, ইসলামিয়া ফাজিল (বিএ) মাদরাসা ও কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় র্যালি ও আলোচনাসভার আয়োজ করে। এছাড়া কার্পাসডাঙ্গা ইসলামিয়া কিন্ডারগার্টেন ও বেবি টিচিং সেন্টারে কুরআন ও নামাজ শিক্ষা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অপরদিকে, আওয়ামী লীগের ব্যানারে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। বিকেলে ইদ্রামোড়ে আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান ভুট্ট, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা আহম্মদ আলী প্রমুখ।
কুড়ুলগাছি প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদার কুড়–লগাছি ইউনিয়ন পরিষদ, কুড়–লগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কুড়–লগাছি দাখিল মাদরাসা, সদাবরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ধান্যঘরা, চণ্ডিপুর, কুড়–লগাছি, বুইচিতলা, প্রতাপপুর, ফুলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকালে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবকদের সাথে নিয়ে কুড়–লগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে। কুড়–লগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ওসমান গনির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দীন।
জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, স্বাধীনতার ৫১ বছর পূর্তি উপলক্ষে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে জীবননগরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের কর্মসূচি পালিত হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। উপজেলা প্রশাসনের দিনব্যাপি কর্মসূচিতে সুর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের সূচনা করা হয়। এ সময় সকল সরকারি ও বে-সরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও সকাল ৮টায় জীবননগর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। হাজি আলী আজগার টগর এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, প্যারেডে সালাম গ্রহণ, প্যারেড পরিদর্শন ও শে^ত কপোত উড়ান। এ সময় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করেন। ইউএনও আরিফুল ইসলাম রাসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান ও থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উপাধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ অমল, পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়াম্যান আয়েসা সুলতানা লাকি, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজাসহ রাজনৈতিক নেতৃবর্গ, মুক্তিযোদ্ধাগণ, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কুচকাওয়াজে বাংলাদেশ পুলিশ, বিএনসিসি, আনসার ও ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস, জীবননগর সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের কাব স্কাউটস দল ও হাসাদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্কাউটস দল, প্রাইড স্কুল এন্ড কোচিং সেন্টার, দৌলৎগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রমূখ অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আলী আজগার টগরসহ অন্যান্য অতিথিদের ক্রেস্ট দিয়ে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। বেলা ১১টায় মাধবখালীর নো-ম্যান্স ল্যান্ডে অবস্থিত ৬ শহীদের কবরে ফাতেহা পাঠসহ পুষ্পার্ঘ অর্পণ, বেলা ১২টায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান, আলোচনাসভা, দুপুরে মসজিদে জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত, হাসপাতাল ও এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, বিকেলে ক্রীড়া প্রতিযোগিতাসহ ফুটবল খেলা, সন্ধ্যায় সরকারি ভবনসমূহে আলোক সজ্জাকরণ, সন্ধ্যা ৬টায় মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন ও রাত ৮টায় পুরস্কার বিতরণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগরসহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২২ উদযাপন উপলক্ষে ‘স্বাধীনতার গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠান আয়োজনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। জীবননগর সাব-রেজিস্ট্রি অফিস হতে র্যালি বের করা হয়। এছাড়াও উপজেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয় বলে খবর পাওয়া গেছে।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুরে সরকারি কলেজ মোড়ে অবস্থিত শহীদ স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান সর্বপ্রথম জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এবং মেহেরপুর জেলাবাসীর পক্ষ পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এরপর পরই পুলিশ বিভাগের পক্ষে পুলিশ সুপার রাফিউল আলম, মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির পক্ষের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মনসুর আলম খান. পৌরসভার পক্ষে মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন পৌরসভার পক্ষে শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এছাড়া মেহেরপুর সরকারি কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ, মেহেরপুর-২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, ছহিউদ্দীন ডিগ্রি কলেজ, টিটিসি, সামাজিক বন বিভাগ, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের, মেহেরপুর জেলা বিএমএ, জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর, সরকারি গণগ্রন্থাগার, সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, জেলা সমবায় অফিস, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ, জেলা আনসার ভিডিপি, মেহেরপুর সরকারি গণগ্রন্থাগার, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, জেলা সমবায় অফিস, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ, জেলা আনসার ভিডিপি, মেহেরপুর জেলা কৃষক লীগসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও দফতরের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথকভাবে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
এছাড়া মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. ইব্রাহীম শাহীনের নেতৃত্বে শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল হালিম, আলহাজ আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ^াস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. ইয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ মো. গোলাম রসুল, মেহেরপুর জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক অ্যাড. মিয়াজান আলী, মেহেরপুর জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুল আলম উপস্থিত ছিলেন। মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন ও যুগ্মআহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম পেরেশানের নেতৃত্বে র্যালি শেষে শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। মেহেরপুর জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদিকা লাভলী ইয়াসমিনের নেতৃত্বে শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এ সময় যুব মহিলা লীগের সভাপতি সামিউন বাশিরা পলি উপস্থিত ছিলেন।
সকাল ৮টায় মেহেরপুর স্টেডিয়াম মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মুনসুর আলম খান জাতীয় সংগীতের সুরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, জেল পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, গার্ল গাইডস, গার্ল ইন স্কাউট, কাব স্কাউট, রেড ক্রিসেন্টসহ মেহেরপুরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছেলে-মেয়েরা মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শন করেন। জেলা প্রশাসক ড. মো. মুনসুর আলম খান প্যারেড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক জেলাবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দেন এবং শান্তির প্রতীক কবুতর উড়ান। পুলিশ সুপার মো. রাফিউল আলম এ সময় জেলা প্রশাসকের সাথে ছিলেন। পরে কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। জেলা প্রশাসক ড. মো. মুনসুর আলম খান কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। পুরস্কার বিতরণী অন্যান্যের মধ্যে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ওয়ালিউল ইসলাম, পুলিশ সুপার রাফিউল আলম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ মো. গোলাম রসূল, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মৃধা মো. মোজাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লিংকন বিশ্বাস, নাজমুল হুদা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিরুল ইসলাম, অপু সরোয়ার, জেলা কমান্ড্যান্ট আনসার ও ভিডিপি শাহাদাত হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম, পিপি পল্লব ভট্টাচার্য, জেলা বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সভাপতি হাসানুজ্জামান মালেক, এনডিসি নাহিদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে এদিন দুপুরের মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনাসভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। জেলা প্রশাসক ডা. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জুমের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মো. রাফিউল আলম। মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির সহ-সভাপতি নুরুল আহমেদের সঞ্চালনায় ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং সুবর্ণ জয়ন্তীতে দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনাসভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শহীদ সাদিক হোসেন বাবলু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল হালিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব.) আব্দুল মালেক, মেহেরপুর জেলা বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সভাপতি প্রফেসর হাসানুজ্জামান মালেক প্রমুখ। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রজনীগন্ধা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে মেহেরপুর জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এদিন বিকেলে মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মহিলাদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। মেহেরপুর জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সভানেত্রী ও জেলা প্রশাসকের পতœী কোহিনুর বেগম জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং শান্তির প্রতীক কবুতর উড়িয়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ঘোষণা এবং খেলা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ পতœী রুমানা রেজা, মেহেরপুর জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদিকা শামীম আরা হীরা, মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লতিফুন্নেসা লতা, যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী সামিউন বশিরা পলি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মেহেরপুর স্টেডিয়াম মাঠে প্রীতি ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়। মেহেরপুর জেলা প্রশাসন একাদশ ও জেলা ক্রীড়া সংস্থা একাদশের মধ্যকার প্রীতি ফুটবল খেলাটি ১-১ গোল ড্র হয়। খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণ করেন। রাতে মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মুজিবনগর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মুজিবনগরে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন সরকার ও মুজিবনগর থানার পক্ষে অফিসার ইনচার্জ মেহেদি রাসেল। এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে পৃথক পৃথকভাবে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের ব্যানারে একদিকে জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য রফিকুল ইসলাম তোতার নেতৃত্বে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এ সময় মহাজনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু, বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, বাগোয়ান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মধু, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, মোনাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফা গাইন, দারিয়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুস্তাকিম হক খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অপর দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হোসেনের নেতৃত্বে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মোল্লা, বাগোয়ান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন মল্লিক, মহাজনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউর রহমান নান্নু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ বল্টু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বেলাল হোসেন বিপ্লব প্রমুখ।
এরপর পর্যায়ক্রমে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল জলিল, যুবলীগের পক্ষে মুজিবনগর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুল হাসান চাদু, ছাত্রলীগের পক্ষে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন লাভলু ও সাধারণ সম্পাদক শেখ সাকিব, উপজেলা জাতীয় পার্টির (জেপি) পক্ষে সভাপতি মো. মওলাদ আলী খাঁন ও সাধারণ সম্পাদক মো. উজ্জ্বল হোসেন মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলা প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যেমে কুচকাওয়াজ ও শরীর চার্চা প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন সরকার। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন সরকারের সভাপতিত্বে সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলায় মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।