লকডাউনের বিধিনিষেধ শেষে আগামী ১১ অগাস্ট থেকে ৩৮ জোড়া আন্তঃনগর এবং ২০ জোড়া মেইল ও কমিউটার ট্রেনে যাত্রী পরিবহন শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
সরকার গণপরিবহনে আসন সংখ্যার সমান যাত্রী বহনের সুযোগ দেওয়ায় সব আসন ভর্তি করেই চলবে ট্রেন। সোমবার সকাল ৮ থেকে ট্রেনের আগাম টিকেট বিক্রি শুরু হবে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল আলম রোববার রাতে গণমাধ্যমকে জানান, আন্তঃনগর ট্রেনের মোট আসনের ৫০ শতাংশ টিকেট অনলাইন ও মোবাইল অ্যাপ এবং বাকি অর্ধেক টিকেট কাউন্টার থেকে বিক্রি করা হবে। তবে ১১ আগস্ট ঢাকা থেকে একতা এক্সপ্রেস, সুন্দরবন এক্সপ্রেস, নীলসাগর এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস এবং টঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি গোবরা থেকে ছাড়বে না বলে জানান শরিফুল আলম। তিনি বলেন, ট্রেনে সবাইকে কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অবহেলা দেখা গেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ১১ অগাস্ট থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি: রেলপথ মন্ত্রী করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১ জুলাই দেশে লকডাউনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ হলে অন্যসব যাত্রীবাহী গণপরিবহনের মত ট্রেন চলাচলও বন্ধ রাখা হয়। ঈদ ঘিরে ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই লকডাউন শিথিল করা হলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ও ট্রেন চালু করে। এরপর ২৩ জুলাই থেকে আবার কঠোর লকডাউন শুরু হলে ট্রেনও থেমে যায়। সেই বিধিনিষেধের সময়সীমা ১০ অগাস্ট শেষ হচ্ছে। ১১ অগাস্ট থেকে বেশিরভাগ বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হচ্ছে। সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি অফিস, বিপণি বিতান ও দোকানপাট ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে’ চালু করা অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আসন সংখ্যার সমান যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।