সুস্থতা পেয়ে শুকরিয়া শয্যাগত রোগী ফাতেমার 

চুয়াডাঙ্গার কৃতিসন্তান প্রফেসর ড. মাহাবুব হোসেন মেহেদীর আরও একটি সাফল্য
স্টাফ রিপোর্টার: সুস্থতা পেয়ে শুকরিয়া আদায় করলেন দীর্ঘদিনের শয্যাগত ফাতেমা বেগম। কোমরের ও অরুসদ্ধির হাড় ভেঙে যাওয়ায় অসাড় শরীর নিয়ে দীর্ঘদিন বিছানায় পড়ে থাকার কারণে যে ফাতেমা বেগমের বেডসোর পর্যন্ত হয়ে যায়, সেই ফাতেমার সুস্থতা দিতে পিরে সকল প্রশংসা মহান সৃষ্টিকর্তার বলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসক প্রফেসর ড. মাহবুব হোসেন মেহেদী। তিনি চুয়াডাঙ্গার কৃতি সন্তান।
সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়ার মনসুর আলীর ৭৪ বছর বয়সী স্ত্রী ৩ মাস আগে একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খাট থেকে নামতে গিয়ে পড়ে যান। এতেই ভেঙে গুড়িয়ে যায় তার মাজা ও অরুসদ্ধির হাড়গোড়। শয্যাগত হয়ে পড়েন।  আপনজনেরা আমেনা বেগমকে সুস্থ করতে প্রথমে কুষ্টিয়ার পরে দেশের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসকের নিকট নেন। দীর্ঘদিনের চিকিৎসায় কোনো কাজই হয়নি। চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে বৃদ্ধা পড়ে থাকেন বিছানায়। কোন কোন চিকিৎসকের কথায় নেমে আশে অন্ধকার। হাটতে পারার আশা ছেড়ে দেন। এক পর্যায়ে আমেনা বেগমের পরিবারের এক সদস্য জানতে পারেন দেশের প্রখ্যাত অর্থপেডিক প্রফেসর ড. মাহবুব হোসেন মেহেদীর কথা। শেষবারের চেষ্টা ভেবে ডা. মেহেদীর নিকট নেয়া হলে তিনি গভীর মনোযোগ দিয়ে দেখেন, প্রাথমিক পরীক্ষার পর ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দেন। বলেন, শারীরিক সমস্যা জটিল থেকে জটিলতর হয়ে গেছে। এরপরও আপনারা সম্মতি দিলে ঢাকায় নিয়ে আরও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে দেখতে পারি। মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহতায়ালা সহায় হলে সুস্থ করে তোলার সর্বাত্মক চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ। আমেনা বেগমের পরিবারের সদস্যরা সম্মত হন। ঢাকায় নিয়ে ভর্তি করা হয় ঢাকা বনানীর ইউর্ক হাসপাতালে। পরীক্ষার পর চিকিৎসক ড. মাহাবুব হোসেন মেহেদী বলেন, অপারেশনের মাধ্যমে হিপ সম্পন্নভাবে প্রতিস্থাপস্থাপন করলে রোগী আবারও চলতে ফিরতে পারবেন বলে আশা করা যায়।  মহান সৃষ্টিকর্তার ওপর ভরসা রেখে চিকিৎসকে অপারেশনে সম্মতি দিলে শুরু হয় পরবর্তী পদক্ষেপ। প্রফেসর ড. মাহবুব হোসেন মেহেদী তার সহকর্মীদের সাথে নিয়ে দীর্ঘসময় ধরে ভাঙা হাড়গোড় প্রতিস্থাপনের পাশাপাশি বেড়সোরেও অস্ত্রপোচার করেন। এতেই দিন দিন সুস্থতার দিকে এগিয়ে যান আমেনা বেগম। তিনি বর্তমানে সম্পন্ন সুস্থ। জীবনেরই আশা যে আমেনা বেগম ও তার নিকটজনেরা প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলেন, সেই আমেনা সুস্থতা পেয়ে মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি শুকরিয়া আদায় করার পাশাপাশি চিকিৎসকেরে জন্যও প্রাণখুলে দোয়া করেছেন।
এ বিষয়ে প্রফেসর ড. মাহবুব হোসেন মেহেদী বলেছেন, ‘টিএইচ আর তথা টোটাল হিপ রিপ্লেসমেন্ট সার্জারি করে বয়স্ক একজন নারীকে সুস্থ করতে পারার মধ্যে রয়েছে আমার প্রচেষ্টা আর মহান সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা। দীর্ঘদিনের শয্যাগত রোগী সুস্থ হয়ে আমার জন্য দোয়া করেছেন। সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ রহমতুল্লাহের। চিকিৎক জীবনে আরও অনেক জটিল কুটিল সমস্যা থেকে রেহায়ের তৌফিক আমাকে দিয়েছেন। শুকরিয়া। চিকিৎসায় সফলতার জন্য আমি আমার পিতা মরহুম মোহাম্মদ মোরাদ হোসেন ও মাতা হাজেরা মোরাদের প্রতি উৎসর্গ করে তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। একই সাথে চুয়াডাঙ্গা জেলাবাসীর কাছে দোয়া চাই।’
Comments (0)
Add Comment