শৈশব স্মরণে, বন্ধুত্ব বরণে প্রতীতের বার্ষিক মিলন মেলা এবারও ছড়িয়েছে উজ্জলতা

স্টাফ রিপোর্টার: বন্ধু হয়ে বন্ধুর পাশে থাকার প্রত্যায়ে গঠিত সংগঠন প্রতীত’র প্রতিবারের বার্ষিক আয়োজনে ফুটে ওঠে অগ্রযাত্রার উদভাবনী ভাবনার প্রতিফলন। দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে থাকা বন্ধুদের সরব উপস্থিতি, একে অন্যকে অবতীর্ত হয়ে মিলন মেলা হয়ে উঠে হাস্য উজ্জল,বর্ণিল। আমেরিকা প্রবাসী মোহাম্মদ সামসুজ্জামান জোয়ার্দ্দার সেলিম স্বস্ত্রীক উপস্থিত হয়ে এবারের আয়োজনকে নিয়ে যান অনন্য উচ্চতায়। সংগঠনের পক্ষে তাকে সংবর্ধিত করা হয়। তুলে দেওয়া হয় সম্মাননা ক্রেস্ট।
মিলন মেলায় “শৈশব স্মরণে, বন্ধুত্ব বরণে’র মূল আয়োজন শুরু হয় জাতীয় সংগিত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে। প্রয়াত বন্ধুসহ সকল শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনাসহ সকলের সুস্থতা চেয়ে দোয়া পরিচালনা করা হয়। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আব্দুস সালাম। দোয়া পরিচালনা করেন অর্থ সম্পাদক সাজ্জাতুল আলম রাজু, উপস্থাপনায় ছিলেন সহ সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী সাগর ও নুঝ্ঝাত পারভীন। সাধারণ সম্পাদক পলাশ কুমার আগরওয়াল পেশ করেন বার্ষিক প্রতিবেদন। গত শুক্রবার দিন ব্যাপী চুয়াডাঙ্গা মাথাভাঙ্গা প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত প্রতীত’র বার্ষিক এ আয়োজনে এবারও তহবিলগঠনসহ কার্যক্রমকে গতিশীল করার বিষয়ে বেশ কিছু নির্দেশনামূলক বক্তব্য উপস্থাপন করেন প্রধান উপদেষ্টা আহমেদ দানিয়েল ইসলাম, উপদেষ্টা হাফিজুর রহমান রতন, আশফাকুল আলম জোয়ার্দ্দার তুহিন, মাহবুবুল হক, নাজিম উদ্দিন প্রমুখ। সভার আলোচনা পর্বে সংগঠনের কার্যকরি কমিটির সহ সভাপতি সরদার আল আমিন, আইন বিষয়ক সম্পাদক তালিম হোসেন, দফতর সম্পাদক শাহাবুদ্দিন রুবেল, কর্যকরি সদস্য আ.ন.ম আসিফ, আবু সাঈদ বিটু, রফিকুল ইসলাম ফিট্টু, শফিকুল ইসলাম, হাসান উল আলম জোয়ার্দ্দার শান্তিসহ কার্যকরি কমিটির সকলে এবারের আয়োজনে যারা সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। সদস্যদের মধ্যে মিলু ও টিপুসহ বেশ ক’জনের নিরালোস প্ররিশ্রমের কথা ঘুরে ফিরেই উঠে আসে। ৮৬’ ব্যাচকে ভিত্ত করে গড়ে তোলা বন্ধু সংগঠনের সদস্যগনের মধ্যে অনেকেই স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে হাস্য রসে ভরিয়ে তোলেন উপস্থিত শতাধীক সদস্যসহ তাদের উপস্থিত সহধমির্ধনীরাও। শেষে র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বন্ধুদের ৭ জন কৃতি শিক্ষার্থী সন্তানের দেয়া হয় সম্মাননা ক্রেস্ট। পিতা মাতার হাত থেকে সন্তানদের পুরষ্কার প্রদানের সময় আবেগঘন পরিবেশ ফুটে ওঠে।
প্রবাসী মোহাম্মদ সামসুজ্জামানা সেলিম চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের খেজুরা গ্রামের কৃতি সন্তান। তাকে প্রতীতের তরফে প্রদত্ত সম্মাননা ক্রেস্টে বলা হয়, বাংলাদেশের ঝা-া নিয়ে প্রবাসীর বুকে বাঙালির আলোকবর্তিকা তুমি। সেলিম বন্ধুদের উদ্দেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে বন্ধুদের সাথে তথা প্রতীতের সাথে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যাক্ত করেন। স্ত্রীও সকলের সার্বিক কল্যাণ কামনা করে বন্ধুদের অগ্রযাত্রার শুভকামনা করেন।