স্টাফ রিপোর্টার: পদ্মা সেতু হয়ে চলাচলের জন্য আগামী ১ নভেম্বর থেকে রুট পরিবর্তন করছে ঢাকা-খুলনা রুটের সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও বেনাপোল-ঢাকা রুটের বেনাপোল এক্সপ্রেস। ১৫ অক্টোবর দুটি পৃথক দাপ্তরিক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ে বলেছে, যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুর পরিবর্তে পদ্মা সেতু হয়ে নতুন রুটে যাবে ট্রেন দুটি। রুট পরিবর্তন করায় পরিবর্তন হচ্ছে ট্রেনের যাত্রাবিরতি স্টেশনগুলোও। আগামী ১ নভেম্বর থেকে ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস (৭২৫)’ দিয়ে নতুন রুটে যাত্রা শুরু হবে। ওই দিন ট্রেনটি খুলনা ছাড়বে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে। ঢাকা পৌঁছাবে ভোর ৫টা ১০ মিনিটে। অন্যদিকে ট্রেনটি (৭২৬) ঢাকা ছাড়বে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে, খুলনা পৌঁছাবে বেলা ৩টা ৫০ মিনিটে। সুন্দরবন এক্সপ্রেস খুলনা-ঢাকায় যাওয়ার পথে ১২টি স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে। এগুলো হলো দৌলতপুর, নোয়াপাড়া, যশোর, মোবারকগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা, পোড়াদহ জংশন, কুষ্টিয়া কোর্ট, রাজবাড়ী, ফরিদপুর এবং ভাঙ্গা জংশন স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে। ফিরতি পথে ট্রেনটি ওই ১২ স্টেশনসহ ১৩টি স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে। বাড়তি স্টেশনটি হলো দর্শনা হল্ট। বেনাপোল এক্সপ্রেস (৭৯৫) আগামী ২ নভেম্বর থেকে নতুন রুটে যাত্রা শুরু হবে। ওই দিন ট্রেনটি বেনাপোল ছাড়বে বেলা ১টায়, ঢাকা পৌঁছাবে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে। ট্রেনটি (৭৯৬) ঢাকা ছাড়বে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে, বেনাপোল পৌঁছাবে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে। বেনাপোল-ঢাকা-বেনাপোল রুটে যাতায়াতের সময় ট্রেনটি ১১টি স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে। এগুলো হলো ঝিকরগাছা, যশোর, মোবারকগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, দর্শনা হল্ট, চুয়াডাঙ্গা, পোড়াদহ জংশন, কুষ্টিয়া কোর্ট, রাজবাড়ী, ফরিদপুর এবং ভাঙ্গা জংশন স্টেশন। দপ্তর আদেশে বলা হয়, রুট পরিবর্তন হলেও সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের বিদ্যমান রেক কম্পোজিশন, মার্শালিং ও আসনবিন্যাস একই থাকবে।