মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে মকলেচুর রহমান নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মকলেচুর রহমান জেলার সদর উপজেলার আশরাফপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মেহেরপুরে আরো ১৫ জন করোনা পজেটিভ রোগী শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট করোনা পজেটিভ রোগীর সংখ্যা ২৮৬ জন হলো। গতকাল মঙ্গলবার রাতে মেহেরপুরের সিভিল সার্জন ডা. নাসির উদ্দিন আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম জানান, মকলেচুর রহমান সকালে জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তার মৃত্যু হয়। তিনি আরও জানান, বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে। এছাড়া করোনা উপসর্গ থাকায় তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ইসলামী ফাউন্ডেশনের সদস্যরা বিধি মোতাবেক জানাজা শেষে মৃতের দাফন সম্পন্ন করবে বলেও জানান তিনি।
নতুন আক্রান্তের ১৫ জনের মধ্যে মেহেরপুর সদর উপজেলার ৭ জন, গাংনী উপজেলার ৭ জন ও মুজিবনগর উপজেলার বাসিন্দা একজন। এরা হলেন মেহেরপুর শহরের বড়বাজার এলাকার রনো, ফৌজদারীপাড়ার রাফিয়া, দীঘিরপাড়ার জামিরুল ও আশরাফুল এবং সরকারি কলেজপাড়ার নাফিজা, তাবাচ্ছুম ও জাহানারা খাতুন। গাংনী উপজেলার আমতৈল গ্রামের মনোরঞ্জন কর্মকার ও কেয়া কর্মকার, সহগলপুর গ্রামের রোজিনা, বামুন্দী বাজার এলাকার সোয়েব আলী, গাংনী পৌর (দাদি বাড়ি) এলাকার সাঈদ হাসান, গাংনী মহিলা কলেজ পাড়ার আশরাফুল ইসলাম ও সরকারি ডিগ্রি কলেজপাড়ার শাহনাজ খাতুন। এছাড়া মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের আবুল বাশার।
সিভিল সার্জন ডা. নাসির উদ্দিন আরো জানান, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পিসিআর ল্যাব থেকে ৪৫ টি নমুনা পরীক্ষার ফল আসে। যার মধ্যে ১৫ জনের দেহে করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়। তিনি আরো জানান, প্রশাসনের সহযোগিতায় আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউন করা হবে এবং আক্রান্তরা নিজ নিজ বাড়ি থেকে চিকিৎসা নেবেন।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত আক্রান্ত ২৮৬ জনের মধ্যে ১৪৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১২৯ জন আর মারা গেছেন ৮ জন।