প্রতক্ষ্যদর্শী সূত্রে জানাই, রোববার সকাল ১০টার দিকে আয়ান আলী বাড়ি থেকে বের হয়ে বদরগঞ্জ রেলগেটের পাশের একটি দোকানে চুল কাটতে যায়। চুলকাটা শেষে বাইসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলো। বাড়ি ফেরার সময় রোয়াকুলি বটতলা নামকস্থানে আসলে পেছন দিক থেকে একটি ট্রাক আসে ও সামনের দিক আর একটি ট্রাক চলে আসে। সামনের ট্রাক দেখে আয়ান সাইকেল নিয়ে রাস্তার পাশে সরে যায়, এ সময় পেছনের ট্রাকটি কোনকিছু বোঝার আগেই তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। গ্রামবাসী আরও জানায়, এমনভাবে শিশুটি পিষ্ট হয়েছে দেখার মতো না। পিঠ ও মাথা পিষ্ট হয়ে রাস্তার সাথে মেশে গেছে। এ সময় স্থানীয়রা দামুড়হুদার নতুন বাস্তপুর গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে ট্রাক চালক মনিরুল ইসলাম (২২) ও জীবননগরের মাধবখালী গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে সহকারী (হেলপার) শাহ আলমকে (২৮) ধরে গণপিটুনি শেষে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এ সময় ঘাতক ট্রাক ঢাকা মেট্রো ট-১৬-৯৭৯৩ আটক করে মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়িতে নিয়ে আসে।
আয়ানের বাবা আবউল্লাহ ওল্টু বলেন, আমার ছেলে তার মায়ের সাথে নানাবাড়ি মাজহাদ গ্রামে যাওয়ার কথা ছিল, ঘটনার ঘন্টা খানিক আগে চুল কাটার জন্য বাড়ি থেকে বাইসাইকেল নিয়ে বের হয়। চুলকাটা শেষে বাইসাইকেল নিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে রোয়াকুলি বটতলা মোড়ে ট্রাক আমার ছেলেকে চাপা দিয়ে মেরে ফেলেছে। অপরদিকে একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে আয়ানের মা শাপলা খাতুন জ্ঞান হারাচ্ছিলো, আয়ানের মায়ের বুকফাটা হাহাকারে এলাকার বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। কেউ ধরে রাখতে পারেনি চোখের অশ্রু।
এ ব্যাপারে জানাতে চাইলে মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশের আইসি এসআই তাপস কুমার বলেন, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা সড়কের রোয়াকুলি গ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় আয়ান নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তার লাশ উদ্বার করা হয়। নিহতের পিতার আবেদনের প্রেক্ষিতে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের অনুমতিক্রমে লাশের ময়নাতদন্ত ছাড়ায় দাফনের অনুমতি দেয়া হয়।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে বাইসাইকেল আরোহী একজন নিহত হয়েছে বলে জেনেছি। ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। চালক ও হেলপারকে আটক করে থানায় নেয়া হয়েছে।