স্টাফ রিপোর্টার: মাদকের অপব্যবহার রোধে সচেতনতার পরিধি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেছেন, মাদকবিরোধী আন্দোলন শুরু করতে হবে পরিবার থেকে। মাদকসেবী শুধু নিজেই নিজেকে অধপতনে নেয় না, সে তার পরিবারসহ প্রতিবেশীদেরও ধ্বংস করে। মাদকের কবলে পড়ে বহু মেধাবী সম্ভাবনাময়ী শিক্ষার্থীকে অকালে ঝরে যেতে হয়েছে। আমরা নিজ নিজ অবস্থানে থেকে এবং সম্মিলিতভাবে মাদকের অপব্যবহার রোধে আন্তরিক হলে অবশ্যই মাদকমুক্ত সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রা শেষে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক উপরোক্ত আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর চুয়াডাঙ্গার পাশাপাশি জেলা পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব পৃথক পৃথকভাবে মাদকবিরোধী অভিযান চলমান রেখেছে। জেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দ-াদেশও দিচ্ছে। জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থাও মাদকবিরোধী অভিযানকে তরান্বিত করতে প্রয়োজনীয় তথ্যদেয়াসহ নানাভাবে সহযোগিতা করছে। চুয়াডাঙ্গায় মাদক নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন যৌধ অভিযানেরও বিশেষ উদ্যোগ নেবে। অভিযানের পাশাপাশি মাদকবিরোধী গণ আন্দোলন গড়ে তোলারও বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। সমাজের সচেতন সুধী সমাজকেও মাদকবিরোধী কর্মসূচি হাতে নিতে হবে। মাদক নিয়ন্ত্রণ ছাড়া সমাজকে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে নেয়া যায় না। প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট নিদের্শনা রয়েছে মাদককে জিরো টলারেন্স করতে হবে। ফলে মাদক নিয়ন্ত্রণে আমাদের সকলকে সম্মিলিতভাবে মাদকবিরোধী গণজাগরণ গড়ে তোলা জরুরি।
আলোচনাসভার আগে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। সড়কের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ফিরে র্যালি মিলিত হয় আলোচনাসভায়। ‘মাদক সেবন রোধ করি, সুস্থ সুন্দর জীবন গড়ি’ সেøাগানকে সামনে রেখে র্যালি ও আলোচনাসভায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন বক্তারা।