মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে অগ্রযাত্রার গর্ব নিয়েই ‘বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয়ে জাতির সূর্যসন্তানদের স্মরণ করলো সর্বস্তরের মানুষ। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকেই রাজধানীর রায়ের বাজার বধ্যভূমিসহ চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহের বিভিন্ন স্থানে শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করছে সর্বস্তরের মানুষ। শোক আর শ্রদ্ধায় জাতি স্মরণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের। একইসঙ্গে এবারও জাতির প্রত্যাশা, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের যারা হত্যা করেছে তাদের মধ্যে যারা বিচার প্রক্রিয়ার বাইরে আছে অথবা পলাতক আছে তাদের বিচারের রায় কার্যকর করা। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রান্তে নিশ্চিত পরাজয়ের মুখে পাকিস্তান বাহিনী ও তাদের সহযোগী রাজাকার, আল বদর, আল শামস সদস্যরা শিক্ষক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সংস্কৃতিকর্মীসহ বৃদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের সকালে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ হাজির হন বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে। সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠনের কর্মী এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে এই অগ্রযাত্রাকে আরও অর্থবহ করতে দুর্নীতি, অনিয়ম প্রতিরোধ করে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার জন্য নীতি নির্ধারকদের তাগিদ দেন।
পাকিস্তানি ঘাতকেরা চেয়েছিল বাঙালিকে মেধা-মননশূন্য করতে। সেজন্য তারা বেছে বেছে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, দার্শনিকসহ বিশিষ্টজনদের হত্যা করে। তাদের শরীরে নিষ্ঠুর নির্যাতনের চিহ্নসহ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের লাশ পাওয়া যায় মিরপুর ও রায়েরবাজার এলাকায়। পরে তা বধ্যভূমি হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে। প্রতি বছর ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করা হয়। করোনা পরিস্থিতির কারণে গতবারের মতো এবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস প্রকোপের কারণে গতবারের মতো এবারও শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা ও পুষ্পস্তবক সরাসরি জানাতে উপস্থিত হননি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। তবে তাদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য টিভি চ্যানেল বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করছে।
চুয়াডাঙ্গায় দিবসটি উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৭ টায় চুয়াডাঙ্গা শহরের শহীদ হাসান চত্বরে অবস্থিত শহীদ বেদিতে পূস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে শহীদ বেদিতে পূস্পস্তবক অর্পণ করেন। পূস্পস্তবক অর্পণ করে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, যুবলীগ, যুব মহিলা লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নান, মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুন্নাহার কাকলী, জাতীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি আফজুলুল হক, সাধারণ সম্পাদক রিপন ম-ল, যুব মহিলা লীগের সভাপতি আফরোজা পারভীন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন হেলা, ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিকসহ জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ, ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
এদিকে, দিবসটি উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের শহীদ হাসান চত্বরে শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তর্বক অর্পণ ও শহীদ বেদিতে মোমবাতি প্রজ্বলন করে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের বিনম্র চিত্তে স্মরণ করা হয়। মোমবাতি প্রজ্বলন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজিয়া আফরীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শারমিন আক্তার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত রহমান, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হোসেন, নুরুল ইসলাম মালিকসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন। পরে শহীদ হাসান চত্বরের মুক্তমঞ্চে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর রেজাউল করিম, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হোসেন, নুরুল ইসলাম মালিক প্রমুখ। আলোচনা সভাটি পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেটের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান।
অপরদিকে, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে গতকাল সন্ধায় জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারের নেতৃত্বে চুয়াডাঙ্গা শহরের শহীদ হাসান চত্বরে অবস্থিত শহীদ বেদিতে পূস্পস্তবক অর্পণ ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে জেলা যুবলীগ। পরে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের সদস্য সাজ্জাদুল ইসলাম লাভলু, হাফিজুর রহমান হাপু, আলমগীর আজম খোকা, বাড়াদী ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক শরীফ উদ্দিন। ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মাসুদ রানা ও খানজাহান আলী। ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম বিপ্লব। যুবলীগ নেতা পিরু মিয়া,শেখ শাহী, হাসানুল ইসলাম পলেন, আল ইমরান শুভ, জুয়েল জোয়ার্দ্দার, রামীম হাসান শৈকত, সামিউল শেক সুইট, দিপু বিশ্বাস, লোকমান, জাকির, খালিদ, আলিহিম, নোমান, মিণ্টু, কবির, আলমগীর, সঞ্জু, মাফুজ, বাচ্চু, ওয়াশিম, ইমরান, মলন, শাকিব সৌরভ প্রমুখ।
এদিকে, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের ছাত্রলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক জাকির হুছাইন জ্যাকির নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। পুষ্পস্তবক অর্পণকালে পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম পারভেজ সজল, জেলা ছাত্রলীগ নেতা উজ্জল তরফদার, রাজন, সানজিত, শীতল, শুভ, সম্রাট, রনি, আরাফাত, রুশার, সোহান, সাইফুল, রতন, মমিন, সাকিব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা প্রবীণ হিতৈষী সংঘের উদ্যোগে আলোচনাসভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন সংঘের সভাপতি একেএম আলী আখতার। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা আদর্শ মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এসএম ইস্রাফিল। সভায় বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সী, পৌর কালেজের সাবেক অধ্যক্ষ শাজাহান আলী বিশ্বাস, ডা. মুস্তাকুর রহমান জোয়ার্দ্দার, মো. আলাউদ্দিন, মো. লুৎফর রহমান। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মালেকা রহমান, আবু তাহের, একিউএম আলফাজ উদ্দীন, রতœা খাতুন ও আমিরুল ফারুক। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আব্দুল হামিদ।
চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে জাতির বীর সন্তানদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি কবি নজমুল হেলাল, সহ-সভাপতি গোলাম কবির মুকুল, সাধারণ সম্পাদক নজির আহমেদ, দফতর সম্পাদক সুমন ইকবাল, মাসুদ রানা প্রমুখ।
সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সরোজগঞ্জ তেতুল শেখ কলেজ ও ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের উদ্যোগে পৃথকভাবে আলোচনাসভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভাপতিত্ব করেন তেতুল শেখ কলেজের অধ্যক্ষ মারফুল হক ও ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ। প্রধান অতিথি ছিলেন তেতুল শেখ কলেজ ও ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা হাজী আব্দুল্লা শেখ। উপস্থিত ছিলেন তেতুল শেখ কলেজ পরিচালনা কমিটির সদস্য জালাল উদ্দিন মহর মাহাবুবুর রহমান, তেতুল শেখ কলেজের ইংরেজি প্রভাষক মোস্তফা শওকত ইমরান, রেজাউল করিম, খাইরুল ইসলাম, রাকিবুল হাসান, ফারুক আহম্মেদ, ফারহানা পারভিন, মনিরা খাতুন, জহির রায়হান, তাসলিমা খাতুন, আরিফ হোসেন, সুরুজ আলম, হারুনুর রশিদ, আবু সামা, আবু জার হোসেন, খাইরুল ইসলাম, শাহারিয়ার ইসলাম, শিক্ষক সাইফুল আওয়াল, সাইফুল ইসলাম, কামরুজ্জামান, মনতাজুল ইসলাম, ছকিনা খাতুন, সাইদুর নাহার, হাবিবা খাতুন প্রমুখ।
ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গার ডিঙ্গেদহ বালিকা বিদ্যালয়ের উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম মোকলেসুর রহমানের সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সাইফুদ্দিন, ফারুক হোসেন, সুলতান আলী। বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শরিফ উদ্দিন, সহকারী শিক্ষক মাহাবুবুর রহমান, রোকোনুজ্জামান। দোয়া পরিচালনা বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক লোকমান হোসেন।
বেগমপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গার হিজলগাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিদ্যালয় হলরুমে প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে উপস্থিত থেকে আলোচনা রাখেন সহকারি প্রধান শিক্ষক আলী হোসেন, সহকারি শিক্ষক সফিকুল ইসলাম, ওয়াজেদ আলী, সাজেদুর রহমান, মাসুদ রানা, আবুল হোসেন, আব্দুল কুদ্দুস, শেফালি খাতুন, শাহানাজ পারভীন প্রমুখ। দোয়ার অনুষ্ঠন পরিচালনা করেন ধর্মীয় শিক্ষক আজিজুল হক।
আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, আলমডাঙ্গায় নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা চত্বরের শহীদ মাজার জিয়ারত করা হয়। পরে ৭১’র বধ্যভূমির বেদীতে শহীদ স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ূব হোসেনের নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূরের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন, থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে পুুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে অগ্নিসেনা মইনউদ্দিনের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ও মেহেরপুর পল্লী সমিতির জোনাল অফিস আলমডাঙ্গার ডিজিএমের পক্ষ থেকে এজিএম শামীম হোসাইনের নেতৃত্বে কর্মকর্তা কর্মচারীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. সালমুন আহমেদ ডন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ, কৃষি অফিসার হোসেন শহীদ সরোওয়ার্দী, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সোহেল রানা, মৎস্য অফিসার ফাতেমা কামরুন্নাহার আঁখি, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাখছুরা জান্নাত, সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার, আমার বাড়ি আমার খামারের কর্মকর্তা শেফালি খাতুন, প্রাথমিক রিচোর্স ইন্সটেক্টর আনারুল ইসলাম, তথ্য সেবা কর্মকর্তা সি›দ্ধা দাস, আলমডাঙ্গা থানার এসআই আমিনুল ইসলাম, এসআই সুফল কুমার প্রমুখ। পরে শহীদ বুদ্ধিজীবি ও শহীদদের স্মরণে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা ওমর ফারুক। বেলা সাড়ে ৩টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূর ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. সালমুন আহমেদর নেতৃত্বে শহীদ বৃদ্ধিজীবীদের স্মরণে বধ্যভূমির বেদীতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেন।
দর্শনা অফিস জানিয়েছে, দর্শনা সরকারি কলেজের আয়োজনে কলেজের ৩ শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে আলোচনাসভা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দর্শনা সরকারি কলেজের অধ্যাক্ষ প্রফেসর শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক মাহাফুজুর রহমান মঞ্জু। বিশেষ অতিথি ছিলেন পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউপি চেয়ারম্যন এসএএম জাকারিয়া আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, জাহাঙ্গীর আলম, কবি আবু সুফিয়ান। সঞ্চালনায় ছিলেন কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জেল হোসেন তপু।
জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, জীবননগরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বাস¯ট্যান্ডের মুক্তমঞ্চে মোমবাতি প্রঞ্জলন ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। জীবননগর উপজেলা প্রশাসন এ কর্মসূচির আয়োজন করে। জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম রাসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকি, পৌর যুবলীগের সভাপতি এসএ শরিফুল ইসলাম ছোট বাবু। বন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি মিঠুন মাহমুদ, সহ-সভাপতি চাষি রমজান, যুগ্ম-সম্পাদক তুহিনুজ্জামান প্রমূখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ ও আলোচনাসভার মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জুমের মাধ্যমে এ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জুমের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি। সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো রাফিউল আলম, পিপি পল্লব ভট্টাচার্য, মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর রফিকুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অবঃ) আব্দুল মালেক প্রমুখ।
এর আগে দিবসটি উপলক্ষে সকাল ১০ টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে অবস্থিত গণকবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক ড. মুনছুর আলম খাঁন, পুলিশ সুপার রাফিউল আলম ও মুক্তিযোদ্ধারা। পরে সেখানে মোনাজাত করা হয়।
এদিকে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শহীদ স্মৃতিসৌধে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চারনেতাসহ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়েছে। মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, যুগ্মসম্পাদক অ্যাড. ইব্রাহীম শাহিন উপস্থিত থেকে মেহেরপুর শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শামীম আরা হীরা, পৌর আওয়ামী লীগের সম্পাদক আক্কাস আলী, সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শাহজামান, শহর সমাজ সেবা সমবায় পরিষদের সভাপতি আমিনুল ইসলাম খোকনসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সিনিয়র শিক্ষক কাজী আনিসুজ্জামান, সেকেন্দার আলী, আব্দুল মান্নান, সোহরাব উদ্দিন, সিরাজ উদ্দিন প্রমুখ। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চারনেতাসহ সকল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের বিদেহী আত্মা শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়।
এদিকে মেহেরপুর জেলা যুবলীগের যুগ্মআহ্বায়ক শহীদ সরফরাজ হোসেন মৃদুলের নেতৃত্বে মেহেরপুর শহীদ স্মৃতিসৌধে ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এর আগে কলেজ মোড়স্থ স্মৃতিসৌধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়। এ সময় সেখানে বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান, বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সমাজ সেবা সমন্বয় পরিষদের সভাপতি আমিনুল ইসলাম খোকন, মেহেরপুর সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু, যুবলীগ নেতা সাইফুল, শহর যুবলীগের সভাপতি শেখ কামাল, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ, যুবলীগ নেতা নাসির, যুব মহিলা লীগ নেতা রোকসানা কামাল রুনু প্রমুখ।
এদিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মেহেরপুর সরকারি কলেজের উদ্যোগে আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। সকালে মেহেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ শফিউল আলম সরদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাক, সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল আমিন, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক কাফিল উদ্দিন, কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুবউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। পরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
এদিকে মেহেরপুর অরণি থিয়েটার ৫০টি কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতির শ্রেষ্ঠ ও সম্মুখযুদ্ধের রণাঙ্গনে শাহাদৎ বরণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবরে আলোক প্রজ্জ্বলন ও কবিতা পাঠের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন কর্মসূচি পালন করেছে। ‘রক্ত এনেছো বিজয় পতাকা-সমুন্নত রাখবোই’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সন্ধ্যায় মেহেরপুর সরকারি কলেজ মোড়ে অবস্থিত স্মৃতিসৌধে শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবসের শ্রদ্ধাঞ্জলি, আলোক প্রজ্জ্বলন ও কবিতা পাঠ কর্মসূচি পালিত হয়। অরণি থিয়েটারের সভাপতি নিশান সাবেরের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন অরণি থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক আতিক স্বপন, সাংস্কৃতিক কর্মী সুলতানা রাজিয়া টনি, খাদিজা জান্নাত পরী, তনিমা রহমান ঐশী, কাইফ, লাজ, নিশি, জিয়া, রিপন, রুবেল, আকবর, অনিক, কাইফসহ অরণি থিয়েটার ও অরণি চিলড্রেন্স থিয়েটার পরিবার। এ সময় কবিতা পাঠ করেন নিশান সাবের, খাদিজা জান্নাত পরী ও তনিমা রহমান ঐশী।
এদিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন উপলক্ষে মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র উদ্যোগে শহীদ স্মৃতিসৌধে পুস্পমাল্য অর্পণ এবং মৌন মিছিল করা হয়েছে। সকাল ১০টার দিকে জেলা বিএনপি’র উদ্যোগে মেহেরপুর জেলা পরিষদের সামনে রক্ষিত শহীদ স্মৃতিসৌধ শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুন বিএনপি’র পক্ষে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন। এর আগে মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র কার্যালয় থেকে একটি মৌন মিছিল বের করা হয়। মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে মৌন মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মৌন মিছিলে অন্যান্যের মধ্যে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান, পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মুজিবনগর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে গতকাল মঙ্গলবার সকালে পূষ্পমাল্য অর্পণ করেনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন সরকার ও উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দীন বিশ্বাস। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর থানার ওসি মেহেদী রাসেল, উপজেলা ভাইস মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা খাতুন, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আব্দুর রব, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আনিসুর রহমানসহ উপজেলার কর্মকর্তা/কর্মচারী ও মুক্তিযোদ্ধা। শেষে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামানায় দোয়া মোনাজাত করা হয়। পরে উপজেলা হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী আীফসার সুজন সরকারের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন মুবিনগর থানার ওসি মেহেদী রাসেল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ রফিকুল ইসলাম মোল্লা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা খাতুন, শিক্ষা অফিসার বেলায়েত হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা আহসান আলী প্রমুখ। এছাড়া সন্ধ্যা গতকাল রাতে প্রেরণা একাডেমি দারিয়াপুরের আয়াজনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে মুজিবনগর সরকারি ডিগ্রি কলেজ শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও কবিতা আব্রতি করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রেরণা একাডেমির প্রতিষ্ঠা সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল হাসান চাঁদু, নির্বাহী পরিচালক সেলিনা পারভিন সুমি প্রমুখ।
মহেশপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মহেশপুর উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুনুল করিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ময়জদ্দীন হামীদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হাসিবুস সাত্তার জমির,বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এটিএম খাইরুল আনাম,উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা খাতুন হেনা, শিক্ষা অফিসার আবু হাসান, মুক্তিযোদ্ধা চলাকালীন সেক্টর কমান্ডার ফয়জুর রহমান, সাবেক পৌর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কাজী আব্দুস সাত্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তালেব প্রমুখ।