স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার মেয়ে ফরিদা পারভীন কেন্দ্রীয় ছাত্র রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়। বর্তমানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি। এবার তিনি কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি হতে পারেন। এ পদে তিনি লড়াইয়ের জন্য ইতোমধ্যেই প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি হলে ফরিদা পারভীনই হবেন চুয়াডাঙ্গার প্রথম ইতিহাস সৃষ্টিকারী মেয়ে। চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হাসাদহের মরহুম শাহাজান আলী ও মোছা. সুফিয়া বেগমের কনিষ্ঠ কন্যা ফরিদা পারভীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নকালে বিএনসিসি এয়ার উইংয়ে সার্জেন্ট হিসেবে দায়িত্বপালন করেন। বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী রেঞ্জার ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এখনও দায়িত্বপালন করছেন। একই হলের ফুটবল ও ভলিবল দলের অধিনায়ক ছিলেন। বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রীহল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ডাকসু’র সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্বও পালন করেছেন।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে নিজেকে নিয়োজিত রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার লক্ষে দৃঢ়তার সাথে এগিয়ে চলা ফরিদা পারভীন ১৯৯৪ সালের ১১ মে জন্মগ্রহণ করেন। ২০০৯ সালে এসএসসি, ২০১১ সালে মানবিক বিভাগে জিপি-৫ পেয়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন। ২০১৬ সালে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে বিএ অনার্স ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি একই বিষয়ে মাস্টার্স করছেন। একই সাথে বাংলাদেশ ল’ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সম্মেলন আসন্ন। কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি হিসেবে তাকে নির্বাচিত করার লক্ষ্যে সহযোদ্ধাদের অনেকেই যেমন দাবি তুলেছেন, তেমনই তিনি নিজেও প্রক্রিয়া শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। চুয়াডাঙ্গার কৃতি শিক্ষার্থী ছাত্র রাজনীতিক ফরিদা পারভীনের অগ্রযাত্রার পথ মসৃণ করতে এলাকাবাসীর নিকট দোয়া ও সহযোগিতা চেয়েছেন পরিচিতদের অনেকে।