স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরসহ সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিএনপি। তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ পানিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সমাবেশে বক্তরা বলেন, বর্তমান সরকার যে ব্যর্থ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি তার প্রমাণ। দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে প্রচার করে সরকার উন্নয়নের নামে দুর্নীতি ও লুটপাট করে চলছে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের নির্যাতন করে, জেলে পাঠিয়ে কাজ হবে না। এ সরকারকে একদিন বিদায় নিতে হবে। বক্তারা বলেন, ‘এদেশে এখানে খুন, হত্যা, গুম, দাম বৃদ্ধি ও নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করতে হয়। এদেশে কেবল মানুষের মূল্যই কমেছে; বাকি সবকিছুর দাম বেড়েছে। কেবল আওয়ামী লীগ সরকারের নেতাদের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। ১০ টাকায় চাল দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেও জনগণ ৭০ টাকায় চাল কিনে খাচ্ছে। গ্যাস, বিদ্যুৎ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রায় ব্যাঘাত ঘটছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। তেলের দাম বাড়ার কারণে পরিবহনে ভাড়া বেড়েছে। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম বেড়ে গেছে। এতে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জীবনে প্রভাব পড়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে তারাও আজ দিশেহারা।’ বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গণমানুষের দল। বাংলাদেশ যখন করোনায় আক্রান্ত তখন কিন্তু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকেনি। কিন্তু সরকার দলের নেতৃবৃন্দ তারা শুধু অর্থ লুট করেই ক্ষান্ত হননি গত দুই বছরে সরকার দলীয়রা কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন উর্দ্ধোগতির কারণে এদেশের জনগণ আজ নিপীড়িত। অথচ সরকারের মন্ত্রীরা বলছেন রাত পোহালেই আয় বাড়ছে। আমরা অজান্তেই নাকি বড়লোক হয়ে যাচ্ছি। শুভঙ্করের ফাঁকি মানুষ এখন বোঝে। আজ দেশে শুধু লুট, লুট আর হরিলুট চলছে। এই করোনাকালীন সময়ে ২৪ হাজার কোটি টাকা লুণ্ঠন করছেন কোথায় সেই টাকা। আপনারা ভুলে যাবেন না। কোন টাকার হিসাব না দিয়ে বর্ডার পর্যন্ত পার হতে পারবেন না। হিসাব আপনাদের দিতেই হবে। ভুলে গিয়েছেন হলমার্ক কেলেঙ্ককারীর চার হাজার কোটি টাকার কথা। পদ্মা সেতু যে টাকায় তৈরী করার ছিলো তার তিন গুন বেশি টাকায় পদ্মা সেতু করেছেন। যার ঋণ আমাদের ২০৫৭ সাল পর্যন্ত বহন করতে হবে। তাহলে কি চলছে এ দেশে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান শরীফের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সংসদ যুবদলের সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুর জব্বার, কেন্দ্রীয় সংসদ স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক গালিব ইমতিয়াজ নাহিদ। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলুর উপস্থাপনায় বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এম জেনারেল ইসলাম, খাজা আবুল হাসনাত, রউফুন নাহার রীনা, সিরাজুল ইসলাম মনি, আব্দুর জব্বার বাবলু, আনোয়ার হোসেন খান খোকন, শাহজাহান কবির, আবু বকর সিদ্দীক আবু, মোকারম হোসেন, আজিজুর রহমান পিণ্টু, হাবিবুর রহমান বুলেট, নজরুল ইসলাম।
এসময় বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শাবু, জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমুল হাবিব সেলিম, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদ মোহাম্মদ রাজীব খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম পিটু, জেলা মৎসজীবি দলের সভাপতি আবু বকর সিদ্দীক বকুল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহজাহান খান।
বিক্ষোভ সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মনিরুজ্জামান মনির, রফিকুল হাসান তনু, মাহাতুব উদ্দীন চুন্নু, রাফিতুল্লা মহলদার, মো. শাহাজাহান, আবুল কালাম আজাদ উথলী, মনিরুজ্জামান লিপ্টন, আমিনুল হক রোকন, সালমা জাহান পারুল, আবুল হোসেন তোহা, নূর নবী সামদানী, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশিদ ঝণ্টু, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুস সালাম বিপ্লব, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জাহানারা পারভীন, যুগ্ম সম্পাদক ও চুয়াডাঙ্গা পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেফালি খাতুন, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসরিন পারভীন, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোমিন মালিতা প্রমুখ।