স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ও মুক্তির উংসব সুবর্ণজয়ন্তী মেলা উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ভি.জে স্কুল (চাঁদমারী মাঠ) আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ সামসুল আবেদীন খোকন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ সামসুল আবেদীন খোকন বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আরেক ধাপ এগিয়ে গেলো। শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন করে মাইলফলক অর্জন করেছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম শতভাগ বিদ্যুতের দেশ এখন বাংলাদেশ। আর এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে। বাংলাদেশ অচীরেই উচ্চ মধ্যমায়ের দেশে পরিণত হবে। ২০৪১ সালের মধ্যেই উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। এই বাংলাদেশ হবে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য দূরদর্শী নেতৃত্বেই বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হতে পেরেছে। এক সময়ের দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষে জর্জরিত বাংলাদেশ আজ বিশ্বজয়ের অভিযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সমৃদ্ধ-উন্নত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই আওয়ামী লীগ সরকারের মূল লক্ষ্য। আর এ লক্ষ্য পূরণে নিরলসভাবে কাজ করতে সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মুন্সি আবু সাইদের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ (প্রশাসন) মো. আবু তারেক। আরও উপস্থিত ছিলেন পি-ডাব্লিউডি নির্বাহী প্রকৌশলী এএম ইফতেখার মজিদ, চুয়াডাঙ্গা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মো. আলী জিন্নাহ, সাবেক অধ্যক্ষ ছিদ্দিকুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজিয়া আফরীন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভুইয়া প্রমুখ।
প্রসঙ্গত চুয়াডাঙ্গায় ৭দিনব্যাপি মুক্তির উৎসব সুবর্ণজয়ন্তী মেলার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের আগে মেলার স্টল ঘুরে ঘুরে দেখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা, পরে মেলায় শ্রেষ্ঠ স্টলদাতাদের বিভিন্ন ক্যটাগরিতে পুরস্কার দেয়া হয়। প্রথম স্থান অধিকার করে চুয়াডাঙ্গা পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে রোড অ্যান্ড হাইওয়ে, তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে জনতা ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ।