দর্শনা অফিস: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বাড়াদী সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ভারতে পাচারের সময় ৫৮টি সোনার স্বর্ণের বারসহ এক চোরাকারবারিকে আটক করেছে বিজিবি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক লে. কর্নেল শাহ মোহাম্মদ ইশতিয়াক।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গোপন সংবাদ ছিলো দামুড়হুদা উপজেলার বাড়াদী সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে বড়ো ধরনের একটি সোনার চালান পাচার হচ্ছে। এ খবর পেয়ে বাড়াদী বিওপির হাবিলদার জুলহাস উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি টহলদল সীমান্তের ৭৯ নম্বর পিলার থেকে ৫০০ গজ বাংলাদেশের ভেতরে নাস্তিপুর কবরস্থান সংলগ্ন প্রাইমারি স্কুল এলাকায় আগে থেকে ওঁৎপেতে থাকে। বেলা ১১টার দিকে বিজিবি টহল দল একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে মোটরসাইকেলযোগে ওই এলাকা দিয়ে সীমান্তের দিকে যেতে দেখলে তাকে চ্যালেঞ্জ করে। এ সময় তিনি দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবি সদস্যরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে ধাওয়া করে তাকে আটক করতে সক্ষম হন। এ সময় তার মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়। পরে মোটরসাইকেলটি তল্লাশি করে সিট কভারের নিচে এয়ার ক্লিনার ফিল্টার বক্সের ভেতর বিশেষ কৌশলে লুকিয়ে রাখা কসটেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ১১টি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। ১১টি প্যাকেটের ভেতর থেকে বিভিন্ন আকারের ৫৮টি সোনার বার জব্দ করা হয়। যার ওজন ৯ কেজি ৮৬০ গ্রাম। উদ্ধারকৃত সোনার বারের আনুমানিক মূল্য ৬ কোটি ৬০ লাখ ৩৫ হাজার ৭৪০ টাকা।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক লে. কর্নেল শাহ মোহাম্মদ ইশতিয়াক বলেন, আটক যুবকের নাম রকিবুল ইসলাম। তিনি নাস্তিপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে। এ দিকে এ ঘটনায় হাবিলদার জুলহাস বাদি হয়ে গতকালই আটককৃত রফিকুলের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আটককৃতকে দর্শনা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত সোনা চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারিতে জমা দেয়া হয়েছে।