মেহেরপুর প্রতিনিধি :
মধু মাসের মধু ফল আম ও লিচু বাজারে উঠতে শুরু করেছে। তবে করোনার প্রভাবে বাইরের জেলা থেকে আসছেননা কোন পাইকার ব্যবসায়ী। ফলে হতাশায় আম ও লিচু চাষীরা। ফল ব্যবসায়ীরা বলছেন আবাসিক হোটেল ও রেস্তরা বন্ধ থাকায় বাইরের জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা আসতে চাচ্ছেননা এ জেলায়। সাথে রয়েছে পন্যপরিবহস সঙ্কট। আর কৃষি বিভাগ বলছে, ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
গেল ১৫ মে থেকে শুরু হয়েছে চাষিদের আম ও লিচু সংগ্রহ। এদিন থেকে গুটি ও বোম্বাই জাতের আম সংগ্রহ করছেন চাষীরা। এছাড়াও ২০ মে থেকে হিমসাগর, ৩১ মে থেকে ল্যাংড়া, ১জুন থেকে গোপালভোগ, ২০ জুন থেকে ফজলি, ১০ জুলাই থেকে মল্লীকা ও আ¤্রপালী, ২৫ জুলাই থেকে বিশ্বনাথ, আশ্বিনা ও বারি-৪ আম সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে এখন পর্যন্ত রাজধানী ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম বরিশাল থেকে আসেননি কোন পাইকার ব্যবসায়ী। তারপরও সিমিত আকারে চাষীরা নিজেরাই আম ও লিচু ভেঙ্গে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করছেন। জেলায় দুই হাজার ৬শ হেক্টর জমিতে লিচু ও ২ হাজার ৩শ ৫০ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে।
মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের আম চাষী সাখাওয়াতের অভিযোগ, বাইরের জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা এ সময় মেহেরপুরে এসে আম ও লিচু সংগ্রহ করেনন। ব্যবসায়ীর পরিমান বেশি থাকায় ভাল দামে তাদের পণ্য বিক্রি করতে পারেন চাষীরা। কিন্তু চলতি মৌসূমে করোনার প্রভাব পড়েছে আম লিচুতে। ব্যবসায়ীরা না আসায় বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়তে পারেন তারা। চাষীরা ক্ষতিগ্রস্থ হলে সরকারীভাবে প্রনোদনার দাবি তাদের।
ফল ব্যবসায়ী ফারুক জানান, ঢাকা ও চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা তাদের সাথে যোগাযোগ করছেন। আবাসিক হোটেল খোলা না থাকায় তাদের থাকার ব্যবস্থা করতে পরছিনা। সাথে খাবার হোটেলও বন্ধ। ফলে বিপাকে পড়েছে এখানকার ব্যবসায়রা। আবার রয়েছে পন্য পরিবহন সংকট। চালকরা করোনার ভয়ে পন্য পরিবহন নিয়ে যেতে চাচ্ছেননা। আবার ফিরতি টিপ না থাকায় বেশি ভাড়াও দাবি করছেন।
চাষীদের অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কামরুল হাসান মিঞা জানান, বাইরের জেলা থেকে আসা ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা তাদের সাথে যোগাযোগ করলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তা দেওয়া হবে। এছাড়াও করোনার প্রভাবে চাষীরা ক্ষতিগ্রস্থ হলে তাদের তালিকা তৈরি করে প্রনোদনার ব্যবস্থা করা করছে সরকার। ব্যাংক থেকে ৪% হারে সুদের ব্যবস্থাও করা হবে বলে তিনি জানান।