স্টাফ রিপোর্টার: পঞ্চম ধাপে দেশের ৩১টি পৌরসভায় আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণ করা হবে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এসব নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেয়া যাবে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। বাছাই হবে ৪ ফেব্রুয়ারি আর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর তফসিল ঘোষণা করেন। এই দফায় সব পৌরসভায় ভোট নেয়া হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। সকাল ৮টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত একটানা ভোট নেয়া হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, মানুষের আস্থা বেড়েছে ভোটের প্রতি। ইভিএমে ভোট দিলে ভোট আরও সুন্দর হয়, এজন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন, চারটার পরেও ভোট নেওয়া হয়েছে।
ইসি সচিব বলেন, সহিংসতা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া আছে। সহিংসতা বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়। তবে সব জায়গায় কিছু লোক থাকে যারা ভালো জিনিসকে ভালো দেখতে চায় না। যেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকে না সেখানে উশৃঙ্খল আচরণ করে। সেগুলোর খ-চিত্র পাওয়া যায়। এটা সার্বিক পরিস্থিতি না। সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত ভাল, অত্যন্ত সুন্দর। উদাহরণ হল প্রচুর মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেয়।
আরেক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, আচরণবিধি না মানলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। এমনও হতে পারে প্রার্থী বিজয়ের পর মিছিল বের করলে বিজয়ী হওয়ার পরও কমিশন প্রার্থিতা বাতিল করতে পারেন।
যে ৩১টি পৌরসভায় পঞ্চম ধাপে ভোট নেয়া হবে, সেগুলো হলো-চট্টগ্রামের মীরসরাই, বারইয়ারহাট, রাঙ্গুনিয়া ও রাউজান; জামালপুরের জামালপুর সদর, মাদারগঞ্জ, দেওয়ানগঞ্জ ও ইসলামপুর; রাজশাহীর চারঘাট ও দুর্গাপুর; ভোলা সদর ও চরফ্যাশন; চাঁদপুরের মতলব ও শহরাস্তি; ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ ও মহেশপুর; লক্ষ্মীপুরের রায়পুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল, হবিগঞ্জ সদর, বগুড়া সদর, মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর, কিশোরগঞ্জের ভৈরব, যশোরের কেশবপুর, মাদারীপুর সদর, রংপুরের হারাগাছ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, জয়পুরহাট সদর, মাদারীপুরের শিবচর, ময়মনসিংহের নান্দাইল, যশোর সদর ও গাজীপুরের কালীগঞ্জ।