ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে টাকার জন্য হত্যা করা হয় লেদশ্রমিক শাহীন আলমকে। ৬ জুন এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। একই দিন নিহতের বাবা চাঁদ আলী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হন কালীগঞ্জ থানার এসআই সাগর শিকদার। হত্যার এক সপ্তাহের মধ্যে হত্যার নেপথ্য তথা কারণ উদ্ঘাটনসহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই আসামিকে আটক করা হয়। এজন্য জুন মাসেই তাকে ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ৫ হাজার টাকা পুরস্কার প্রদান করা হয়।
মঙ্গলবার সেই মামলাটির অভিযোগপত্র আদালতে জমা দিয়ে বিকালে খুন হওয়া যুবকের বাড়িতে ছুটে যান তদন্ত কর্মকর্তা সাগর শিকদার। কোলে তুলে নেন খুন হওয়া শাহীনের ১১ মাসের কন্যাসন্তানকে। এ সময় পরিবারের হাতে নিজের পুরস্কার পাওয়া ৫ হাজার টাকা ও শিশুটির জন্য নতুন জামা-কাপড় প্রদান করেন। মামলার বাদী ও নিহত যুবকের বাবা চাঁদ আলী বলেন, মামলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তদন্ত কর্মকর্তা যে সহযোগিতা করেছেন সেটি বলে বোঝানো সম্ভব না। তার আন্তরিকতার কোনো অভাব ছিল না। কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হননি তিনি। পদে পদে তিনি আমাদের সহযোগিতা করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সাগর শিকদার জানান, প্রযুক্তির মাধ্যমে ও বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া এলাকা থেকে জসিম হোসেন ওরফে বাবুকে আটক করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সব আলামত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। খুনিরা ঘটনার মোড় ঘোরাতে শাহিন আলমকে উলঙ্গ করে ফেলে রেখে গিয়েছিল। তবে টাকার ওপর রক্তের দাগ থেকে মাত্র সাত দিনের মধ্যেই তিনি আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ খুঁজে বের করেন এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দুই আসামিকে গ্রেফতার করেন। তদন্তে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আজ ওই দুজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানান তিনি। তিনি জানান, চেষ্টা করেছি যেন সাধারণ মানুষ হয়রানি না হয়। পরিবারটি যেন ন্যায়বিচার পায় সেজন্য সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। পরিবারটির যে ক্ষতি হয়েছে সেটি অপূরণীয়। পরিবারটির জন্য নিজের পুরস্কার পাওয়া ৫ হাজার টাকা ও শিশুটির জন্য জামা-কাপড় উপহার দিয়েছি।