ঝরে গেলো আরও ৫৮ প্রাণ নতুন শনাক্ত ৫ হাজার ৬৮৩ জন
স্টাফ রিপোর্টার: দেশে করোনা পরিস্থিতি বেসামাল হয়ে পড়েছে। অব্যাহত আছে করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি। প্রায় প্রতি চারজনে একজন নতুন করে করোনা শনাক্ত হচ্ছেন। এক সপ্তাহে পরীক্ষা বেড়েছে ৪ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। শনাক্ত বেড়েছে ৬৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং মৃত্যু ৭১ দশমিক ১৪ শতাংশ। সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ২০ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। গতকাল শনিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৫ হাজার ৬৮৩ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬ লাখ ৩০ হাজার ২৭৭ জন। একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ৫৮ জন মারা গেছেন। সবমিলিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে ৯ হাজার ২১৩ জনের মৃত্যু হলো। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২ হাজার ৩৬৪ রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত একদিনে। এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর ৫ লাখ ৪৯ হাজার ৭৭৫ জন। শুক্রবার দেশে ৬ হাজার ৮৩০ রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন। মারা যান ৫০ জন। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার শনাক্ত হয়েছিলেন ৬ হাজার ৪৬৯ জন। সেদিন ৫৯ জনের মৃত্যু হয়। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিলো গত বছর ৮ মার্চ। ২ এপ্রিল ৬ হাজার ৮৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়, যা একদিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ বছর ৩১ মার্চ তা ৯ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা একদিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সারা দেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২২৭টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১২০টি, জিন-এক্সপার্ট ৩৪টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৭৩টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২৪ হাজার ১শটি। আগের নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয়েছে ২৪ হাজার ৫৪৮টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৭ লাখ ৫২ হাজার ৬৬১টি। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২৬ শতাংশ, সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ২৩ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৫৮ জনের মধ্যে ৩৮ জন পুরুষ, ২০ জন নারী। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৩৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ জন, খুলনা বিভাগে ৩ জন, বরিশাল বিভাগে ২ জন। এছাড়া রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১ জন করে ২ জন রয়েছেন। এদের সবাই হাসপাতালেই মারা গেছেন। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ৩৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৪ জন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৪৮০ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১০৪ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ১ লাখ ৬ হাজার ২৫৫ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৯৩ হাজার ৫১৭ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১২ হাজার ৭৩৮ জন।