স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় গত দু’দিনে ১৫ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। গতকাল সোমবার ৩ জনসহ গত রোববার আরও ১২ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এ নিয়ে জেলায় মোট এক হাজার ২৫৭ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। গত দু’দিনে নতুন সুস্থ হয়েছেন ৪৫ জন। করোনা পরীক্ষার জন্য গতকাল আরও ৫৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। সোমবার রাতে চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগসূত্রে এ খবর পাওয়া গেছে।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিসসূত্রে জানা গেছে, রোববার রাতে চুয়াডাঙ্গার ৪৬ জনের পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া যায়। তার মধ্যে ১২ জনের করোনা পজেটিভ আসে। এদিন নতুন নমুনা প্রেরণ করা হয় ২২ জনের। রোববারের রিপোর্টে পজেটিভ ১২ জনের মধ্যে রয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ৭জন, আলমডাঙ্গা উপজেলায় একজন, দামুড়হুদা উপজেলায় ৩ জন ও জীবননগর উপজেলায় একজন। এদের মধ্যে পুরুষ ৭ ও নারী ৫ জন। বয়স ১১ থেকে ৬৫। এছাড়া, গত ২৯ আগস্ট হোম আইসোলেশন থেকে মারা যান চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের রবিউল ইসলাম (৪৬)।
গতকাল সোমবার রাতে চুয়াডাঙ্গার ২২ জনের করোনা পরীক্ষার ফলাফল আসে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে। তার মধ্যে ৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। গতকালের ৩ জন দিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১ হাজার ২৫৭ জনে। গতকাল নতুন সুস্থ হয়েছেন ৩৪ জন। পরীক্ষার জন্য আরও ৫৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে। সোমবার পজেটিভ ৩ জনই চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার। এদের মধ্যে পুরুষ একজন ও নারী দুজন। বয়স ৩০ থেকে ৫০। বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ৩৪ জন, নিজ বাড়িতে হোম আইসোলেশনে ৩৯৬ জন এবং ঢাকায় ৬ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বপ্রথম করোনা শনাক্ত হয় ১৯ মার্চ ইতালি ফেরত আলমডাঙ্গার এক যুবকের শরীরে। জেলায় এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৯৫৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে ৪ হাজার ৮০৩ জনের ফলাফল পাওয়া গেছে। তার মধ্যে এক হাজার ২৫৭ জনের পজেটিভ এবং ৩ হাজার ৪৯৭ জনের নেগেটিভ ফল পাওয়া যায়। আক্রান্ত এ হাজার ২৫৭ জনের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৭৮৯ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। মৃত্যুর পর করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৮ জনের। অর্থাৎ জেলায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের। বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে ৩৪ এবং হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ৩৯৬ জন। এদিকে, উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে ১০ জনকে। তাদের মধ্যে ৪ জন সুস্থ হয়েছেন বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬ জন। এছাড়াও, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ১৩ এবং হোম কোয়ারেন্টাইনে নতুন যুক্ত হয়েছেন ৪৬ জন। এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন ৫ হাজার ৮৫৫ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে ৬৫ জনসহ এ পর্যন্ত ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪ হাজার ৮১৬ জন। বর্তমান রয়েছেন এক হাজার ৩৯ জন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা সংক্রমণের মধ্যে বাড়ির বাইরে বের না হওয়ায় ভালো। প্রয়োজনে বের হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে চলাচল করতে হবে। বাড়ির বয়ষ্কদের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। যে কোনো সমস্যা দেখা দিলেই নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।