স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিশুসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। নিহতের মধ্যে রয়েছেন একজন শিশু ও একজন কৃষক। গতকাল সোমবার সকালে ও দুপুরে উপজেলার পৃথক স্থানে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার চিৎলা গ্রামের মোড়ে ইজিবাইকের ধাক্কায় আলিফ হোসেন (৭) নামে শিশু নিহত হয়েছে। নিহত আলিফ হোসেন চিৎলা গ্রামের নতুনপাড়া জিয়ার আলীর ছেলে ও চিৎলা দারুল আরকাম নুরানি মাদরাসার শিশু শ্রেণির ছাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাদরাসায় যাওয়ার উদ্দেশে বের হয় আলিফ হোসেন। এ সময় চিৎলা বাজারের রফিকুল ইসলামের দোকান থেকে একটি পাউরুটি কিনে দামুড়হুদা-কার্পাসডাঙ্গা সড়কের চিৎলার মোড়ে রাস্তা পার হতে গেলে কার্পাসডাঙ্গাগামী দ্রুত গতির একটি ইজিবাইক তাকে ধাক্কা দেয়। এতে গুরুতর জখম হন আলিফ। স্থানীয়রা উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক লাইলা শামিমা শারমিন তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ইজিবাইকটি আটক করে থানায় নেয় পুলিশ।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল খালেক জানান, ঘটনার পর চালক পালিয়ে গেলেও ইজিবাইকটি আটক করে থানায় নেয়া হয়। নিহত আলিফের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। আবেদনের প্রেক্ষিতে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আলিফ তিন ভাই ও বোনের মধ্যে সবার ছোট। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তার দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়।
এদিকে, পাউয়ারট্রলির চাকায় পিষ্ট হয়ে আব্দুল হাকিম (৪৩) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার দুপুর ২টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার ধান্যঘরা গ্রামের দূর্গাপুর মোড়ে এ দুর্ঘটনার ঘটে। নিহত কৃষক আব্দুল হাকিম একই উপজেলার ধান্যঘরা গ্রামের মৃত নুরু ফরাসির ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে বাইসাইকেল চড়ে মাঠ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন কৃষক আব্দুল হাকিম। এ সময় তিনি দুর্গাপুর মোড়ে পৌঁছুলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ইট বোঝাই পাউয়ারট্রলির সাথে তার বাইসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে পাউয়ারট্রলির চাকার নিচে পড়ে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন বাইসাইকেল চালক আব্দল হাকিম। পরে পাউয়ারট্রলি ও এর চালককে আটক করেও ছেড়ে দেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাব্বুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছুনোর আগেই পাউয়ারট্রলি ও এর চালককে ছেড়ে দেয় স্থানীয়রা। নিহতের বাড়ি পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ না থাকায় নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা। গতকাল রাতেই ধান্যঘরা ঈদগা মাঠে জানাজা শেষে গ্রামের কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়। নিহত আব্দুল হাকিম ৪ সন্তানের জনক ছিলেন।