আলমডাঙ্গা/জীবননগর ব্যুরো: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা ও জীবননগর উপজেলায় পৃথক দুটি দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন আলমডাঙ্গার দুজন ও জীবননগরের একজন। গতকাল সোমবার দুপুরে আলমডাঙ্গার কালিদাসপুর ইউনিয়নের ডম্বলপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে ভুট্টাবোঝাই ট্রাক উল্টে চালক ও চালকের সহকারী নিহত হন। এর আগে সকালে জীবননগরের সীমান্ত ইউনিয়নের গঙ্গাদাসপুরে মাটিবাহী ট্রাক্টর উল্টে ১৫ ফুট গভীর খাদে পড়ে চালকের আসনে থাকা চালকের সহকারী কিশোরের মৃত্যু হয়।
নিহত ব্যক্তির স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃতি দিয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ জানায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ বাজার থেকে ভুট্টা বোঝাই করে ট্রাকটি কুষ্টিয়া যাচ্ছিলো। ট্রাকটি চুয়াডাঙ্গা-কুষ্টিয়া মহাসড়কে আলমডাঙ্গা উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের ডম্বলপুর ক্লিনিকের কাছে পৌঁছুলে পেছন থেকে একটি ড্রাম ট্রাক (বালু বহনের জন্য বিশেষভাবে তৈরি) ভুট্টা বোঝাই ট্রাকটিকে ধাক্কা দেয়। এ সময় ট্রাকচালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ট্রাকটি রাস্তার পাশে গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) খালে উল্টে যায়। ঘটনাস্থলেই চালক ও তার সহকারীর মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থেকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি ইউনিট এবং আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং উদ্ধার কাজে নামে। চালক ও সহকারীর লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে পুলিশ।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, পরিবারের লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। যে ট্রাকটির কারণে দুর্ঘটনা, সেটিকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভোরে হাসান ট্রাক্টর চালিয়ে ভৈরব নদের গঙ্গাদাসপুর এলাকা থেকে মাটি ভর্তি করে ইটভাটায় যাচ্ছিল। মাঝপথে মাটিভর্তি ট্রাক্টরটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে ১৫ ফুট গভীর খাদে উল্টে পড়ে যায়। এ সময় হাসান ট্রাক্টরের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে জীবননগর থানার পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গেছে। পরে পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে। জীবননগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) স্বপন কুমার দাস বলেন, নিহত হাসানের পরিবার এ ব্যাপারে মামলা করতে আগ্রহী নয়। লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।