দর্শনা অফিস: গোটা বিশ্বে করোনা মহামারির দোহায় দিয়ে টানা তিনবছর দর্শনা-গেদে সীমান্ত পথে ভ্রমণ ভিসা বন্ধ রাখা হয়। ভারতে আইনী জটিলতার কারণে ওই দেশের হাই কমিশনার এ ভিসা বন্ধ রাখলেও অবশেষে ৩ বছরের মাথায় পুনরায় চালু হয়েছে। বছর দেড়েক আগে ভ্রমণ ভিসা ছাড়া সব ধরণের ভিসা কার্যক্রম চালু করা হলেও এ রুটে যাতায়াতকারী যাত্রী সংখ্যা ছিলো না বললেও ভুল হবে না। ভ্রমণ ভিসা চালু হলে ফের দর্শনা জয়নগর সীমান্তে ফিরতে পারে জৌলুস। করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালের ২৬ মার্চ দর্শনা জয়নগর-গেদে সীমান্ত পথে পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল বন্ধ করা হয়। দুদেশে আটকে থাকা নাগরিকদের জন্য সুযোগ করে দেয়া হয়। ফলে ওই বছরের ১৭ মে থেকে করোনাকালীন সময় ভারতে আটকে যাওয়া যাত্রীরা দেশে ফিরে আসা এবং ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফিরে যাওয়া শুরু হয়েছিলো সাময়িক সময়ের জন্য। দীর্ঘ সময় এ রুটে ভিসা বন্ধ থাকায় দর্শনা নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে একাধিকবার আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেছে। ভিসা বন্ধের প্রায় দেড় বছর পর ২০২১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর দর্শনা জয়নগর চেকপোস্টসহ বেনাপোল, আখাউড়া, বুড়িমারি, হিলি ও সোনা মসজিদ চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারী মেডিকেল ও বিজনেস ভিসাযাত্রীদের ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াত কার্যক্রম শুরু হয়। ওই বছরেরই ৭ ডিসেম্বর থেকে দর্শনা জয়নগর সীমান্ত পথে ফের বন্ধ করা হয় সব ধরণের ভিসা দেয়া। শুধুমাত্র মেডিক্যাল ও বিজনেস ভিসাধারীরা এ পথে ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াতের সুবিধা পেলেও তা ছিলো একেবারেই কম। এখানে ইমিগ্রেশন-কাস্টমস সম্পন্ন করে সেখান থেকে মাত্র ৩৫ টাকায় ট্রেনের টিকেট কেটে কলকাতা ও শিয়ালদহে যাওয়ার সুবিধা রয়েছে। গেদে স্টেশন থেকে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ১৮ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন। বিদ্যুৎ চালিত এ ট্রেনে কলকাতা পৌঁছাতে সময় লাগে মাত্র আড়াই ঘণ্টা। এছাড়া দর্শনা থেকে দেশের যেকোন শহরে যাতায়াত সুবিধা বহুগুনে বেশী। দর্শনা জয়নগর ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এসআই আবু নাঈম জানিয়েছেন, শুনেছি ২ মার্চ থেকে ভারতের গেদে ও মাহাদিপুর সীমান্তে ভ্রমণ ভিসা চালু করা হয়েছে। ভ্রমণ ভিসার জন্য যথানিয়মে আবেদন করতে হবে। তবে যাত্রী সেবায় সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে দর্শনা জয়নগর ইমিগ্রেশন, কাস্টমস ও বিজিবির পক্ষ থেকে।