স্টাফ রিপোর্টার: ঝিনাইদহে বাড়িতে ঢুকে এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যার অপরাধে মামলায় একজনকে আমৃত্যু কারাদ- দেয়া হয়েছে। এ মামলায় আরও ২২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫ জনকে যাবজ্জীবন ও ১৭ জনকে ১ বছর করে কারাদ-ের আদেশ দেয়া হয়েছে। ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. শওকত হোসাইন আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় এ রায় দেন। এ সময় পলাতক চার আসামি ছাড়া অন্যরা কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। নিহত কৃষকের নাম চান্নু মিয়া। তিনি সদর উপজেলার করিমপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণসূত্র জানা যায়, ২০০৭ সালের ৮ এপ্রিল পূর্বশত্রুতার জের ধরে বাড়িতে ঢুকে কৃষক চান্নু মিয়াকে তার মা-বাবার সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পরদিন নিহত কৃষকের বাবা শাহাদাত হোসেন বাদী হয়ে ৩০ জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ওই বছরের জুনে ৩০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত মামলার রায়ে আসামি মজনু মিয়াকে আমৃত্যু কারাদ- দেন। এছাড়া চান্নু মিয়াকে হত্যার অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদ- পাওয়া আসামিরা হলেন তফসের আলী, আবদুল জলিল, তিতু মিয়া, ইকতিয়ার আলী ও আবদুল আলিম। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালে চার আসামি মারা গেছেন। তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। আসামিপক্ষের আইনজীবী নেকবার হোসেন বলেন, তারা ন্যায়বিচার পাননি। তারা এ ঘটনায় উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও অতিরিক্ত পিপি (সরকারি কৌঁসুলি) আবদুল খালেক বলেন, ‘আমরা এ হত্যা মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা আরও কঠোর শাস্তি আশা করেছিলাম। কিন্তু আদালত যা রায় দিয়েছেন, তাতেও আমরা সন্তুষ্ট’।