চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার বারাদি সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি দুজন নাগরিক (গরু ব্যবসায়ী) নিহত হয়েছেন। বিএসএফ নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কৃষ্ণনগর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। রোববার দুপুরে এ ঘটনায় উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে ক্যাম্প কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার বাড়াদি সীমান্তের শূন্য রেখায় এ বৈঠক হয়।
শনিবার রাতে ভারতের অভ্যন্তরে নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকার গোবিন্দপুর সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের ব্যাকপাড়ার মো. শরিয়ত উল্লাহ ছেলে মো. খাজা মইন উদ্দিন (৪৩) ও একই পাড়ার হায়দার আলির ছেলে সাজেদুর রহমান (২৬)।
পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউপি চেয়ারম্যান জানান, শনিবার রাতের যেকোন সময় মইন উদ্দিন ও সাজেদুর অবৈধভাবে ভারতে গরু আনতে যান। এ সময় ভারতের গোবিন্দপুর বিএসএফ ক্যাম্পের টহল দল গুলি চালালে ঘটনাস্থলে তারা নিহত হন। রোববার সকালে বিষয়টি বিজিবির মাধ্যমে নিহতের স্বজনরা জানতে পারেন। চুয়াডাঙ্গা বারাদি বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার হাবিলদার রেজাউল করিম বলেন, অবৈধভাবে দুজন ভারতে গেলে বিএসএফের গুলিতে তারা মারা যান। তাদের মরদেহ বিএসএফ নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আজ পতাকা বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পক্ষে দর্শনা ক্যাম্প কামান্ডার সুবেদার আব্দুল জলিল ও ভারতের পক্ষে গোবিন্দপুর বিএসএফের ইন্সপেক্টর দিনেশ কুমার। তিনি আরও বলেন, তারা অবৈধভাবে সীমান্তের তার কাটা কেটে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। এ সময় তারা বিএসএফের ওপর চড়াও হন। প্রথমে বিএসএফ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পরে গুলি চালালে তারা নিহত হয়। পতাকা বৈঠকের পর যেকোন দিন বিএসএফ মরদেহ ফেরত দেবে।
নিহতের স্বজনরা বলেন, ‘কারও কথায় তারা ভারতে যান মালামাল আনতে। তারা দিন মজুরের কাজ করতেন। আমরা দুজনের মরদেহ দ্রুত ফেরত চাই। তাদের যেন নিজ গ্রামে দাফন করতে পারি।’
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিরি উপ-পরিচালক মেজর মো. আশিক আহম্মেদ বলেন, ‘কার্যক্রম মাঝামাঝি পর্যায়ে রয়েছে। পতাকা বৈঠক হয়েছে। মরদেহ ফেরতের বিষয়টি আমরা তাদের বলেছি।’