স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানসহ সাতটি পদে ৩১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এ নির্বাচনে ৮ম শ্রেণি থেকে মাস্টার্স পাস প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। ৮ম শ্রেণি পাস ৯ জন, এসএসসি পাস ৪জন, এইচএসসি পাশ ৭ জন, ডিগ্রী পাস ৭জন এবং মাস্টার্স পাস ৪জন। নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীরা ব্যস্ত এখন প্রচার-প্রচারণায়। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে প্রার্থীরা। আগামী ১৭ অক্টোবর সোমবার ইভিএম-এ ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, জেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার তারেক আহমেদ জানান, জেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ১৪ ও ১৫ অক্টোবর নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পোলিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত মাহফুজুর রহমান মনজু বি.কম পাস। তার প্রতীক মোটর সাইকেল। স্বতন্ত্র প্রার্থী আরেফিন আলম রনজু বি.এ পাস। তার প্রতীক ঘোড়া। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি আব্দুস সালাম দাওরায়ে হাদিস পাস। তার প্রতীক চশমা।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে ১নং ওয়ার্ডের (চুয়াডাঙ্গা সদর) প্রার্থী চুয়াডাঙ্গা শহরের পুরাতন হাসপাতালপাড়ার শহিদুল ইসলাম সাহান বি.এ পাস। তার প্রতীক তালা। নীলমনিগঞ্জ গ্রামের মাফলুকাতুর রহমান ৮ম শ্রেণি পাশ। তার প্রতীক হাতি। শ্রীকোল গ্রামের জহুরুল ইসলাম এমএসএস পাস। তার প্রতীক বৈদ্যুতিক পাখা। ধুতুরহাটের আব্দুর রউফ ৮ম শ্রেণি পাস। তার প্রতীক টিউবওয়েল। রেলপাড়ার মিরাজুল ইসলাম কাবা এইচএসসি পাশ। তার প্রতীক উটপাখি।
২নং ওয়ার্ডের (আলমডাঙ্গা উপজেলা) সদস্য পদে প্রার্থী মুন্সিগঞ্জের খলিলুর রহমান এসএসসি পাস। তার প্রতীক বৈদ্যুতিক পাখা। আলমডাঙ্গার বলেশ্বরপুরের আলতাব হোসেন এসএসসি পাশ। তার প্রতীক হাতি। বৈদ্যনাথপুরের মিজানুর রহমান এইচএসসি পাস। তার প্রতীক টিউবওয়েল। পোয়ামারী গ্রামের মজনু রহমান এইচএসসি পাস। তার প্রতীক তালা। এরশাদপুরের মোল্লা জাফর উল্লাহ এসএসসি পাস। তার প্রতীক ঘুড়ি। মধুপুরের তপন কুমার বিশ্বাস এসএসসি পাস। তার প্রতীক উটপাখি। খাসকররার এএইচএম মেয়াজ্জেম বিএ (অনার্স) এমবিএড পাস। তার প্রতীক অটোরিক্সা।
৩নং ওয়ার্ডে (দামুড়হুদা উপজেলা) সদস্য পদে প্রার্থী সাড়াবাড়িয়া গ্রামের অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম এলএলবি (অনার্স) পাস। তার প্রতীক বৈদ্যুতিক পাখা। দশমী গ্রামের শফিউল কবির এইচএসসি পাস। তার প্রতীক টিউবওয়েল। হরিশচন্দ্রপুরের লস্কর আলী বিএসএস পাশ। তার প্রতীক তালা।
৪নং ওয়ার্ডে সদস্য পদে (জীবননগর উপজেলা) প্রার্থী গঙ্গাদাসপুরের মোসাবুল ইসলাম লিটন ৮ম শ্রেণি পাস। তার প্রতীক হাতি। জীবননগরের আলীপুরের মিতা খাতুন ৮ম শ্রেণি পাশ। তার প্রতীক টিউবওয়েল। হাসাদহ গ্রামের কবির আহম্মদ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ। তার প্রতীক তালা।
সংরক্ষিত সদস্য পদে ১নং ওয়ার্ডের (চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা) প্রার্থী আলমডাঙ্গার বগাদী গ্রামের কাজল রেখা এসএসসি পাশ। তার প্রতীক বই। শিবপুর গ্রামের মনিরা খাতুন ৮ম শ্রেণি পাস। তার প্রতীক ফুটবল। এরশাদপুরের সামশাদ রানু বিএ পাস। তার প্রতীক হরিণ। জাহাপুরের বিথী খাতুন এইচএসসি পাস। তার প্রতীক টেবিল ঘড়ি। বোয়ালিয়া গ্রামের হাছিনা খাতুন ৮ম শ্রেণি পাস। তার প্রতীক মাইক।
সংরক্ষিত সদস্য পদে ২নং ওয়ার্ডের (দামুড়হুদা ও জীবননগর) প্রার্থী জীবননগরের শিরিনা পারভিন এমএ পাস। তার প্রতীক হরিণ। জীবননগরের কহিনুর বেগম ৮ম শ্রেণি পাস। তার প্রতীক বই। জীবননগরের সোনদাহ গ্রামের নাহার বানু ডিগ্রি পাস। তার প্রতীক ফুটবল। দামুড়হুদার দলিয়ারপুর গ্রামের আদুরী খাতুন ৮ম শ্রেণি পাস। তার প্রতীক দোয়াত কলম। পীরপুরকুল্লা গ্রামের ইয়াসমিন খাতুন ৮ম শ্রেণি পাস। তার প্রতীক মাইক।
প্রসঙ্গত : আগামী ১৭ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ইভিএম-এ ভোটগ্রহণ করা হবে। চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একজন, সদস্য পদে চারজন এবং সংরক্ষিত সদস্য (মহিলা) পদে দুইজন নির্বাচিত হবেন। স্থানীয় সরকারের পৌরসভার মেয়র-কাউন্সিলরবৃন্দ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানদ্বয় এবং ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দ নির্বাচিত ৫৬৫ জন জনপ্রতিনিধি ভোট প্রদান করবেন। সদর উপজেলায় ১১৯ ভোট, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ২১১ ভোট, দামুড়হুদা উপজেলায় ১১৮ ভোট এবং জীবননগর উপজেলায় ১১৭ ভোট রয়েছে। চারটি ভোট কেন্দ্র হলো চুয়াডাঙ্গা সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, দামুড়হুদা আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রী কলেজ ও জীবননগর থানা মডেল বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়।