স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহের জন্য আহ্বানকৃত দরপত্র বাছাই নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাক্সে জমা না দিয়েও দরপত্র পেয়েছেন। শুধু তাই নয়, মধ্যম মানের সুতি প্রিন্ট শাড়ি যিনি গড়ে ১শ’ টাকা বেশি মূল্য ধরেছেন তিনিই এ সরবরাহের কাজ পেয়েছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দরপত্র জমাদানকারী কাজল রেখা দৈনিক মাথাভাঙ্গা দফতরে এসে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় চুয়াডাঙ্গা জেলার দরিদ্র জনসাধারণের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের লক্ষ্যে সামগ্রী সরবরাহের জন্য প্রকৃত ব্যবসায়ী/সরবরাহকারীগণের নিকট দরপত্র আহ্বান করা হয়। কোটেশন দরপত্র জমাদানের শেষ সময় ১১ মে বেলা ১২টার মধ্যে বক্সে নমুনা জমা দেয় অনুসন্ধান ট্রেডার্স, সামাদ বস্ত্রালয় ও শিরিন বস্ত্রালয়। পরে নির্ধারিত সময়ের পরে আরও ৫ জন ব্যবসায়ী বক্সে জমা না দিয়ে জেলা পরিষদের অফিস সহকারী বেদানা খাতুনের হাতেহাতে নমুনাপত্র দিয়ে আসেন। বিজ্ঞপ্তিতে দুপুর ১টায় দরপত্র দাতাগণের উপস্থিতিতে দরপত্র খাম খোলার কথা থাকলেও তা খোলা হয় বেলা আড়াইটার সময়।
অভিযোগে আরও জানা যায়, মধ্যম মানের সুতি প্রিন্ট শাড়ির মূল্য ৩৬৫ টাকা দরে নমুনাপত্র জমা দেন কাজল রেখা। অথচ সরবরাহ পাওয়া রহমান বস্ত্রালয় দর ধরেছে ৪৫৫ টাকা।
এ বিষয়ে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দরপত্র বাছাই নিয়ে কোন প্রকার অনিয়ম হয়নি। নমুনাপত্রসহ যাদের সকলপ্রকার কাগজপত্র সঠিক ছিলো তাদেরই বাছাই করা হয়েছে।