শারীরিক নির্যাতন নাকি রোগাক্রান্তে? জবাব জানতে আজ ময়নাতদন্ত
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা আলুকদিয়ার বৃদ্ধা রহিমা খাতুনের মৃত্যু নিয়ে ধু¤্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। হাসপাতালের নিবন্ধন খাতায় শারীরিক নির্যাতনের কারণে অসুস্থতার কথা উল্লেখ করা হলেও পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বৃদ্ধা রহিমা খাতুনের উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা রয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে রহিমা খাতুনের মৃত্যু হয়। এদিকে, সাধারণ রোগে নাকি শারীরিক নির্যাতনে মৃত্যু এ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে বৃদ্ধার লাশ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া গ্রামের ফজলুর রহমান ফজলুর স্ত্রী রহিমা খাতুনকে (৬০) গতকাল শুক্রবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসার জন্য জরুরি বিভাগে নেন মেয়ে ফজিলা খাতুন। ওই সময় রহিমা খাতুনের উচ্চ রক্তচাপসহ শারীরিক নির্যাতনের কথা উল্লেখ করা হয়। তার মুখে আঘাতের দাগ থাকায় অসুস্থতার কারণ হিসেবে উচ্চ রক্তচাপসহ শারীরিক নির্যাতন উল্লেখ করেন জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সোহানা আহমেদ। আগের দিন অর্থাৎ গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ নির্যাতনের ঘটনার সময় উল্লেখ করা হয়।
এদিকে, রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রহিমা খাতুনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লাশ আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। রহিমা খাতুনের স্বজনরা জানিয়েছেন, ফজলুর রহমানের ছোট ছেলে আশাদুল একই গ্রামের আব্বাসের কাছে টাকা পেতো। গত ১৬ জুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একই গ্রামের রনি, সোহেল, আবাস, দোস্ত মোহাম্মদ তাস খেলা করছিলো। ওইসময় টাকা চাইতে গেলে তাদের মধ্যে গ-গোল বাধে। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় দোস্ত মোহাম্মদ আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। গতকাল শুক্রবার সকালে তারা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর আশাদুলের পিতা ফজলুর রহমান শুক্রবার বিকেলে ভর্তি হওয়ার জন্য হাসপাতালে আসেন। এসময় তার মা রহিমা খাতুনকেও নিয়ে আসা হয়। এসময় ভুলবশত রহিমা খাতুনের রোগের কারণ হিসেবে শারীরিক নির্যাতন লেখা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, নিহত রহিমা খাতুনের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তার সাধারণ রোগে মৃত্যু হয়েছে। তারপরও মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন ওঠার কারণে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে রাখা হয়েছে। আজ শনিবার ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর করা হবে।