স্টাফ রিপোর্টার: অবশেষে সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজু। মেহেরপুরে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাড. আব্দুস সালাম। এছাড়া ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন কনক কান্তি দাস।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে দলীয় মনোনয়ন ফর্ম কিনেছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মঞ্জু, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সর্বশেষ নিযুক্ত প্রশাসক শামসুল আবেদীন খোকন, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড. আব্দুল মালেক। এছাড়াও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারও মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেছিলেন বলে গুঞ্জণ ছিলো।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছেন, মেহেরপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাড. আব্দুস সালাম। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মনোনয়ন বোর্ডে গতকাল শনিবার এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মনোনয়ন পেতে তার সাথে দৌড়-ঝাপে অংশ নিয়েছিলেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাবেক এমপি জয়নাল আবেদীন, মেহেরপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক গোলাম রসুল, সাবেক প্রশাসক অ্যাড. মিয়াজান আলী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর বোন কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য শামীম আরা হিরা, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাড. ইব্রাহিম শাহীন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান ও জেলা কৃষকলীগের সভাপতি মাহাবুবুল হক শান্তিসহ মোট ৮ জন।
মনোনয়ন প্রত্যাশীর দৌড়ে ছিলেন সাবেক মন্ত্রী, এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ জেলা-উপজেলার দলের শীর্ষ নেতা এবং বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের প্রবীণ নেতারা। স্থানীয় জনপ্রিয়তা ও এলাকা থেকে আসা বিভিন্ন রিপোর্ট যাচাই-বাছাই করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করেছেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৫ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সময় ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর, আপিল নিষ্পত্তি ২২ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর।
দলীয় মনোয়ন পেয়েছেন ঢাকা বিভাগে টাঙ্গাইলে ফজলুর রহমান খান ফারুক, কিশোরগঞ্জে মো. জিল্লুর রহমান, মানিকগঞ্জে গোলাম মহীউদ্দীন, মুন্সীগঞ্জে মো. মহিউদ্দিন, ঢাকায় মো. মাহবুবুর রহমান, গাজীপুরে মো. মোতাহার হোসেন, নরসিংদীতে আব্দুল মতিন ভুঞা, নারায়ণগঞ্জে চন্দন শীল, রাজবাড়ীতে এ, কে, এম, শফিকুল মোরশেদ, ফরিদপুরে মোহাম্মদ ফারুক হোসেন, গোপালগঞ্জে মুন্সী মো. আতিয়ার রহমান, মাদারীপুরে মুনির চৌধুরী, শরীয়তপুরে ছাবেদুর রহমান। খুলনা বিভাগে মেহেরেপুর মো. আব্দুস সালাম, কুষ্টিয়ায় মো. সদরউদ্দিন খান, চুয়াডাঙ্গায় মাহফুজুর রহমান (মনজু), যশোরে সাইফুজ্জামান পিকুল, মাগুরায় পঙ্কজ কুমার কু-ু, নড়াইলে সুবাস চন্দ্র বোস, বাগেরহাটে শেখ কামরুজ্জামান টুকু, খুলনায় শেখ হারুনুর রশীদ, সাতক্ষীরা… (নাম ঘোষণা হয়নি), ঝিনাইদহে কনক কান্তি দাস। রাজশাহী বিভাগে জয়পুরহাটে খাজা সামছুল আলম, বগুড়ায় মো. মকবুল হোসেন, নওগাঁয় এ কে এম ফজলে রাব্বি, চাঁপাইনবাবগঞ্জে মো. রুহুল আমিন, রাজশাহীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, নাটোরে মো. সাজেদুর রহমান খান, সিরাজগঞ্জে মো. আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, পাবনায় আ.স.ম. আব্দুর রহিম পাকন। রংপুর বিভাগে পঞ্চগড়ে মো. আবু তোয়বুর রহমান, ঠাকুরগাঁওয়ে সাদেক কুরাইশী, দিনাজপুরে আজিজুল ইমাম চৌধুরী, নীলফামারীতে মো. মমতাজুল হক, লালমনিরহাটে মো. মতিয়ার রহমান, রংপুরে ইলিয়াস আহমেদ, কুড়িগ্রামে মো. জাফর আলী, গাইবান্ধায় মো. আবু বকর সিদ্দিক।
বরিশাল বিভাগে বরগুনায় মো. জাহাঙ্গীর কবির, পটুয়াখালীতে মো. খলিলুর রহমান, ভোলায় আব্দুল মুমিন টুলু, বরিশালে এ কে এম জাহাঙ্গীর, ঝালকাঠিতে খান সাইফুল্লাহ পনির, পিরোজপুরে সালমা রহমান। ময়মনসিংহ বিভাগে জামালপুরে মো. বাকি বিল্লাহ, শেরপুরে চন্দন কুমার পাল, ময়মনসিংহে ইউসুফ খান পাঠান, নেত্রকোণায় অসিত কুমার সরকার। সিলেট বিভাগে সুনামগঞ্জে মো. খায়রুল কবির রুমেন, সিলেট নাসিরউদ্দিন খান, মৌলভীবাজারে মিছবাহুর রহমান, হবিগঞ্জে ডা. মুশফিক হুসেন চৌধুরী। চট্টগ্রাম বিভাগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আল মামুন সরকার, কুমিল্লায় মফিজুর রহমান বাবলু, চাঁদপুরে ইউসুফ গাজী, ফেনীতে খায়রুল বশর মজুমদার, নোয়াখালীতে আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু, লক্ষ্মীপুরে মো. শাহজাহান, চট্টগ্রামে এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, কক্সবাজারে মোস্তাক আহমদ চৌধুরী। গড়ে প্রতিটি জেলায় আটজনের অধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী ফরম সংগ্রহ করেন। এছাড়া গাইবান্ধা-৫ আসনের মনোনয়ন সংগ্রহ করেন ১০ জন।