স্টাফ রিপোর্টার: চক্ষু চিকিৎসা দেয়াসহ বিভিন্ন ধরণের অপারেশন করার প্রয়োজনীয় ডিগ্রী নেই। শুধুমাত্র ডিপ্লোমা ডিগ্রি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে দিয়ে আসছেন অপচিকিৎসা। অবশেষে হলো না শেষ রক্ষা। চুয়াডাঙ্গায় ভুয়া চিকিৎসক সেজে অপচিকিৎসা দেয়ার অপরাধে এমনই এক ব্যক্তিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সিনেমা হলপাড়ায় অবস্থিত চক্ষু সেবা কেন্দ্রে অভিযান চালান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভূইয়ার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মাজহারুল ইসলাম জানান, চিকিৎসক সেজে অপচিকিৎসা দিচ্ছেন এক ব্যক্তি এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সিনেমা হলপাড়ায় চক্ষু সেবা কেন্দ্রে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে আটক করা হয় সামসুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে। সেখানে দেখা যায় ভারত থেকে প্রাপ্ত কথিত অল্টারনেটিভ মেডিসিন ডিগ্রীধারি সামসুর রহমান রোগীদের জটিল চোখের রোগের চিকিৎসা করছেন। দীর্ঘদিন ধরে বেআইনিভাবে নিজের নামের পূর্বে ব্যবহার করে আসছেন ডাক্তার পদবী। চিকিৎসা সেবা প্রদানের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে চাইলে তা ভ্রাম্যমাণ আদালতকে দেখাতে ব্যর্থ হন সামসুর রহমান। এমবিবিএস ডিগ্রি না থাকলেও চিকিৎসাপত্র লিখতেন তিনি। শুধুমাত্র রয়েছে চক্ষুর ওপর এক বছরের ডিপ্লোমা কোর্সের সার্টিফিকেট। একজন ডিপ্লোমা চিকিৎসক এভাবে চিকিৎসা দিতে পারেন না। পরে দোষ স্বীকার করলে তাকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৪ ধারায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সাথে তার প্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয়। অভিযুক্ত সামসুর রহমান বছর পাঁচেক আগে একবার ভ্রাম্যমাণ আদালতে একই অপরাধে দন্ডিত হয়ে জেলহাজতে গিয়েছিলেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাজে সহযোগিতা করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ের নাজির সাজেদুর রহমান ও সদর থানা পুলিশের একটি টিম। এর আগে ৮ মে শহরের রেলবাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে এক দন্ত্য চিকিৎসককে ২ লাখ জরিমানা ও ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়।