স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় নাশকতা মামলায় জেলা জামায়াতের সেক্রেটারিসহ বিএনপি-জামায়াতের ১১ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে শহরের পুলিশপার্ক লেনের একটি বাসা থেকে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাড. আসাদুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর স্টেশন এলাকার মৃত ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতের আইনজীবী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মাহাবুবুর রহমান কাজল। তিনি জানান, নাশকতা মামলায় বুধবার রাতে শহরের পুলিশপার্ক লেনের একটি বাসা থেকে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালানোর সময় জামায়াত, বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ১০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে জেলার আলমডাঙ্গা কুমারী ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার বাবুপাড়ার মসলেম উদ্দিনের ছেলে জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মাগরিবুর রহমান (৪৮), কালিদাসপুর ইউনিয়নের আসাননগর গ্রামের দাউদ আলীর ছেলে উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মিনারুল ইসলাম(৪২), চরশ্রীরামপুর গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জমির আলী(৫৫), ডাউকি গ্রামের মৃত শেখ আব্দুল আজিজের ছেলে ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান (৪৮), হারদী ইউনিয়নের ওসমানপুর গ্রামের মৃত আনসার আলীর ছেলে চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের রোকন শাহজান আলী (৪২), বামানগর গ্রামের মৃত হাফেজ আব্দুস সাত্তারের ছেলে হারদী ইউনিয়ন জামায়াতের রোকন জুবায়ের বিশ^াস @ জোবাইরুল হক (৫৫), শেখপাড়ার গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ৩নং ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি হাবিবুর রহমান (৫৭), কুমারী গ্রামের মাহাতাব আলীর ছেলে ৮নং ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি আনারুল হক (৩৭), কুমারী গ্রামের মৃত হারুন আলীর ছেলে ওয়ার্ড জামায়াতের সদস্য মুরাদ আলী (৩৬) ও দুর্লভপুর গ্রামের মৃত দিদার আলীর ছেলে ইউনিয়ন জামায়াতের সদস্য নুর ইসলামকে (৫৮) ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করে।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি বিপ্লব কুমার নাথ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওসি বিপ্লব কুমার নাথ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, আলমডাঙ্গা কুমারী ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের শ্যামপুর গোপী বল্লভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ফাঁকা মাঠের মধ্যে বিএনপি এবং জামায়াতের নেতাকর্মীরা জনসাধারণের জানমালের ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে অবৈধ অস্ত্র গুলি, বোমাসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গোপন বৈঠক করছে। খবর পেয়ে রাতে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ককটেল বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দৌড়ে পালানোর সময় তাদেরকে আটক করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বোমার মতো বস্তু ৯টি, বিস্ফোরিত বোমার অংশ বিশেষ ও ১৮টি বাঁশের লাঠি উদ্ধার করা হয়। আটক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়েরপূর্বক বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।