স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের বেশ কিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরণের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়া অধিদফতর পূর্বাভাসে বলেছে, দাবদাহ অব্যাহত তাকতে পারে। তবে টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ জেলাসহ ময়মনসিংহ, সিলেট, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সোমবার যশোরে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বনি¤œ তেতঁলিয়ায় ১৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড কর হয়। চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৩৯ দশমিক শূন্য ও সর্বনি¤œ ২৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুরসহ পাশ^বর্তি অঞ্চলে গতকালও দুপুরে রোদের হলকা বয়ে গেছে। বাতাসে ছিলো আগুনের উত্তাপ। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ জেলাসহ ময়মনসিংহ, সিলেট, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পটুয়াখালী অঞ্চলসহ ঢাকা, রাজশাহী এবং খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরণের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তা অব্যাহত থাকতে পারে। ৪৮ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে আবহাওয়া সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। ৫ দিনে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। গতকাল সিলেটে ৫২ মিলিমিটার, ময়মনসিংহে ৯ মিলিমিটার, ঢাকার নিকলি ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। দুদিন আগে চুয়াডাঙ্গাসহ পাশর্^বর্তী এলাকায় বৃষ্টির অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হলেও বৃষ্টি হয়নি। কবে হবে তা নিশ্চিত করে বতলতে পারছেন না আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। চলমান খরা পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে জীবনযাত্রা ব্যাহত হতে পারে। অপরদিকে মাঠের পাকা ধানে অজ্ঞাত রোগসহ তপ্ত বাতাসে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে হঠাৎ টর্নেডো হলে উঠতি ধানের ফলন বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।