চুয়াডাঙ্গায় তরমুজ লালের পরিবর্তে সাদা হওয়ায় বাকবিতন্ডা : সংঘর্ষ

বিক্রেতাসহ দুজনকে কুপিয়ে জখম : একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় তরমুজ কেনাকে কেন্দ্র করে দুজনকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রক্তাক্ত অবস্থায় তরমুজ বিক্রেতাসহ দুজনকেই উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এরমধ্যে তরমুজ বিক্রেতা আমিরুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী বা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আল ইমরান জুয়েল। গতকাল শুক্রবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরের বড় বাজার এলাকার ফেরিঘাট রোডের লোহাপট্টির সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাধীন বেলগাছি গ্রামের মৃত দুলাল ম-লের ছেলে ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি রুবেল হোসেন (৩৫) ও শহরের শান্তিপাড়ার সদর আলীর ছেলে ফল ব্যবসায়ী অর্থাৎ তরমুজ বিক্রেরা আমিরুল ইসলাম (৩৭)।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) খালেদুর রহমান দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তরমুজ লালের পরিবর্তে সাদা হওয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশের একাধিক দল মাঠে নেমেছে। দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে আহত দুজনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরমধ্যে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহীতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক।
আহত আমিরুল ইসলাম দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, শুক্রবার সকালে তরমুজ বিক্রি করাকে কেন্দ্র করে ক্রেতার সঙ্গে বাকবিত-া হয়। রাতে মোটরসাইকেলযোগে আমি ও রুবেল ফেরিঘাট রোড হয়ে বড় বাজারে যাওয়ার পথে সেই ক্রেতাসহ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। পরে দুজনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তবে অভিযুক্তদের নাম-পরিচয় না জানলেও মুখ পরিচিত তারা।
আহত রুবেল হোসেন দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, আমি মোটরসাইকেলের পেছনে বসে ছিলাম। ওরা পেছন থেকে হামলা চালায়। আমি মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গেলে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এতে এ ঘটনার কিছুই আমি জানি না। আমিরুলের সঙ্গে ছিলাম এজন্য আমাকেও কুপিয়ে জখম করেছে তারা।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আল ইমরান জুয়েল দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, দুজনের শরীরের বিভিন্নস্থানে ধারাল অস্ত্রের আঘাতের ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে রুবেলকে ভর্তি করা হয়েছে এবং আমিরুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী বা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।