করোনাকালে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ

চুয়াডাঙ্গায় ডিজিটাল মেলা উপলক্ষে কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় ডিজিটাল মেলা-২০২০ উপলক্ষে কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ১৪ জনের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল মেলার এবারের সেøাগান ছিলো-‘মুজিববর্ষে আমাদের অঙ্গীকার, প্রযুক্তি এগিয়ে যাওয়ার হাতিয়ার’।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মনিরা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ ইয়া খান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। আরো বক্তব্য রাখেন কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকারী জীবননগরের সাইফুল্লাহ মাহমুদ ও সাংবাদিক শাহ আলম সনি। অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন ক্বারী কবির আহমেদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া মমতাজ। এসময় সহকারী কমিশনার হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
ডিজিটাল মেলায় বিজয়ী প্রথম স্থান অধিকারী সাইফুল্লাহ মাহমুদকে ৫ হাজার টাকা, দ্বিতীয় স্থান অধিকারী জুবায়েদুল আনোয়ারকে ৩ হাজার টাকা, তৃতীয় স্থান অধিকারী মেহেরাব্বিন সানভীকে ২ হাজার টাকা এবং ১১ জনকে সান্তনা পুরস্কার হিসেবে ১ হাজার করে টাকা পুরস্কৃত করা হয়। প্রথম স্থান পুস্কারপ্রাপ্ত জীবননগরের সাইফুল্লাহ মাহমুদ দিনাজপুর হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, দ্বিতীয় স্থান অধিকারী জীবননগরের জুবাইদুল আনোয়ার যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ছাত্র, তৃতীয় স্থান অধিকারী মেহেরাব্বিন সানভী চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অনার্সের ছাত্র। সান্তনা পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন চুয়াডাঙ্গা কোর্টপাড়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হুসাইন মো: জাবির, দামুড়হুদার চারুলিয়ার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্র আসলাম খান, খালিদ হাসান, আলমডাঙ্গা কেশবপুরের কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের ছাত্র আবুজার গিফারী, চুয়াডাঙ্গা মল্লিকপাড়ার চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ছাত্র তাজকেরাতুল আনাম, চুয়াডাঙ্গা সাতগাড়ীর সরকারি কলেজের ছাত্র আবু তৈয়ব, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ছাত্র তৌফিক হাসান, আলমডাঙ্গার কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের ছাত্র আব্দুল্লাহ আল নোমান, জীবননগরের বাঁকার কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের ছাত্র মাহফুজুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস ও চুয়াডাঙ্গা মুক্তিপাড়ার গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মিজানুর রহমান ।
প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, লকডাউনে ঘরে বসে স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হয়। মানুষকে ঘরে রাখতে হলে একটা পরিবেশ দরকার। মেলাকে আকর্ষণ করা। প্রতিযোগিতার আয়োজন না করলে ওয়েবসাইটে ঢুকতেন না। ১৯৬ জন অংশ নিয়েছেন। ৫০টা প্রশ্ন ছিলো। আয়োজন সার্থক হয়েছে। আয়োজকদের বাইরে অনেকে দেখেছেন। ২/১ টা জেলা ব্যক্তিগত উদ্যোগে কাজটি করেছেন। আইসিটি জেলায় র‌্যাংকিং করবে। আমরা থাকবো। অনেক কাজ স্বাভাবিকভাবে হচ্ছে না। ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের যাত্রা শুরু। সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিলো এটি। দূরদর্শী নেতা আমাদের প্রধানমন্ত্রী। জেলায় ২৯টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব আছে। এর শিক্ষকরা যদি সঠিকভাবে কাজ করতো শিক্ষাই বড় কাজ হতো। আমরা ডিজিটাল ব্যবস্থার সবকিছু সদব্যবহার করতে পারতাম। নামধারী নয় প্রকৃত শিক্ষা নিতে পারতাম তাহলে কাজ নিয়ে চিন্তা করতে হতো না। কোয়ালিটি এডুকেশন নেই। সুযোগ সদব্যবহার করতে হবে। বছরে ২০ লাখ দক্ষ লোক তৈরী করতে পারি নাই। নেট স্লো। লকডাউন না থাকলে চুয়াডাঙ্গা জেলার ৩৮টি ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড চালু হয়ে যেতো। এখন ৮টি চালু হয়েছে। সবারই ব্রাইট ভিউচার। আইসিটিতে দক্ষ হয়ে যাবে। লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ট্রেনিং শুরু করেছিলাম। লকডাউনের কারণে বন্ধ হয়ে যায়। সকলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন ও অন্যদের মেনে চলার জন্য পরামর্শ দেবেন। মহামারী করোনা ভাইরাসে ফেসবুকে কোরবানীর পশু বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে পারবেন।

Comments (0)
Add Comment