অচেতন করে নগদ টাকা ও মোবাইলফোন ছিনতাইয়ের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় দিন-দুপুরে যাত্রীবেশে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকে থাকা অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা মাহফুজ (২১) নামে এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করেছে। এ সময় অচেতন করে নগদ টাকা ও মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এরপর ওই শিক্ষার্থীকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বাগানপাড়াস্থ পুরাতন কবরস্থানের নিকট ফেলে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় এক ভ্যানচালকের নজরে পড়লে শনাক্ত করে পরিবারকে খবর দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে আলমডাঙ্গা থেকে চুয়াডাঙ্গায় আসার পথ্যে এ ঘটনা ঘটে। ব্যস্তময় সড়কে তাও আবার দিন-দুপুরে চলন্ত ইজিবাইকের মধ্যে এমন ঘটনায় হতভাগ সচেতনমহল। আহত মাহফুজ আলমডাঙ্গা উপজেলায় নাগদহ ইউনিয়নের খেজুরতলা গ্রামের সৌদি প্রবাসী আবুল কাশেমের ছেলে। বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বাগানপাড়ায় মায়ের সাথে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। মাহফুজ চুয়াডাঙ্গা ফাস্ট ক্যাপিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
আহত মাহফুজ দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, আমার বাবা সৌদি আরব থেকে আমার বাবা ফুপ্পা আনোয়ার হোসেনের নিকট টাকা পাঠায়। গতকাল দুপুরে সেই টাকা আনতে আলমডাঙ্গায় যায় আমি। পরে আলমডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের সন্নিকটে আমার ফুপ্পা দেয়া ১৫ হাজার টাকা নিয়ে সেখান থেকে একটি ইজিবাইকযোগে চুয়াডাঙ্গায় উদ্দেশে রওনা দিই। এ সময় ইজিবাইকে ৩-৪জন যাত্রী ছিল। মুঞ্জিগঞ্জ এলাকার পার হয়ে একটি ফাকা স্থান থেকে ইজিবাইকে থাকা যাত্রীরা আমার ওপর হঠাৎ হামলা চালায়। আমি তাদের প্রতিরোধ করলে আমার মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে রড় দিয়ে মারধর করে চলন্ত ইজিবাইকের মধ্যেই। এ সময় কেউ একজন চেতনা নাশক স্প্রে করলে আমি অচেতন হয়ে পড়ি। এ সময় আমার নিকটে মোট ৩৪ হাজার টাকা নগদ ও মোবাইলফোন ছিনিয়ে নেয় তারা। আমার মোবাইলে বিকাশ একাউন্টে ২৫ হাজার টাকা আছে। তিনি আরও বলেন, আমাকে দফায় দফায় মারধর করে তারা। শেষ পর্যন্ত যখন মারধর করে তখন চুয়াডাঙ্গা ছাগল উন্নয়ন খামার খেয়াল করেছি। এরপর আমার আর কিছুই মনে নেই।
পরিবারের সদস্যরা জানায়, সন্ধ্যার পর চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বাগানপাড়ারস্থ পুরাতন কবরস্থানের নিকট মাহফুজকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে এক ভ্যানচালক। পরে স্থানীয়রা মাহফুজকে শনাক্ত করলে সেই ভ্যানচালক মাহফুজের ভাড়া বাসার সামনে নেই। পরে পরিবারের সদস্যরা মাহফুজকে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রিয়াদাস জামান দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, মাহফুজের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে। প্রাথমিক ধারণা নেশা জাতীয় কিছু দিয়ে অজ্ঞান করার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি করে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তবে তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।