নমুনা দিয়ে রিপোর্ট পেতে বিলম্ব হওয়ার কারণে যারা ঘুরছেন জনগণের মাঝে তাদের অনেকেরই রিপোর্ট পজিটিভ
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলায় আরও ২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ দিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫শ ৪৭ জন। সুস্থ হয়েছেন ২৬৯ জন। প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে রয়েছেন ৫৫ জন, বাড়িতে চিকিৎসাধীন ২শ ১২ জন। সোমবার আরও ২৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করা হয়েছে। এ দিয়ে এখন রিপোর্ট পেতে বাকি ২শ ২৪ জনের। নতুন শনাক্তের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা শহরের একজন সাংবাদিকও রয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে সোমবার ৭৪ জনের রিপোর্ট আসে। এর মধ্যে ১ জনের ফলোআপসহ ৩০ জনের রিপোর্ট পজিটিভ হয়েছে। নতুন ২৯ জনের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ১৪ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ২জন ও জীবননগর উপজেলায় ১৩ জন। এ দিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদরে এ পর্যন্ত শানাক্তের সংখ্যা ২শ ৫৯, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ১শ ১৬ জন, দামুড়হুদা উপজেলায় ১শ ১৫ জন ও জীবননগর উপজেলায় ৫৬ জন। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৯ জন। সোমবার যে ২৯ জন নতুন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন এদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা শহরের ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ডপাড়ার আরও ১জন, সিনেমাহলপাড়ার ২ জন, সদর থানার ২ জন, মাঝেরপাড়ার ১জন, দক্ষিণ হাসপাতালপাড়ার ১জন, বড়বাজার পাড়ার ২ জন, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ১জন, মুক্তিপাড়ার ২ জন, (মুক্তিপাড়ার দুজনের মধ্যে একজন সাংবাদিক) তালতলা পশুহাটপাড়ার ১জন, ্একাডেমী মোড়ের ১জন ও এতিমখানাপাড়ার ১ জন। আলমডাঙ্গার হারদীর ১ জন, জীবননগর ব্র্যাক অফিসের ১জন, উপজেলার শাপলাকলিপাড়ার ১জন, মিনহাজপুরের ১ জন, সুটিয়া বাকা ৩ জন, জীবননগর পৌরসভার ৩জন, শাপলাকলিপাড়ার ১জন, কাশিপুরের ২ জন, বাকা ১জন, পুরাতন তেঁতুলয়িার ১জন, শাখারিয়া সীমান্তের ১জন। নতুন শনাক্ত সকলেই সোমবার রাতে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হোম আইসোলেশনে ছিলেন। চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের যে ব্যক্তি করোনা শনাক্ত হয়েছে তিনি আলমডাঙ্গা উপজেলার বাসিন্দা। আর ফলোআপ রিপোর্টেও যার পজিটিভ এসেছে তিনি জেলা শহরের বড়বাজার পাড়ার বাসিন্দা।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় এ পর্যন্ত ২শ ৫৯ জনের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ৮৯ জন। আলমডাঙ্গা উপজেলায় ১১৭ জন আক্রান্তের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৭৫ জন। দামুড়হুদা উপজেলায় মোট আক্রান্ত ১১৫ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৭৮ জন। জীবননগর উপজেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্ত ৫৬ জন। সুস্থ হয়েছেন ২৭ জন। চুয়াডাঙ্গা সদরে উপজেলায় ৪জন, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ২জন, দামুড়হুদা উপজেলায় ৩ জন মারা গেছেন। এ তিনজনই দর্শনার বাসিন্দা। অবাক হলেও সত্য যে, যারা নমুনা দিচ্ছেন তাদের অধিকাংশকেই প্রকাশ্যে জনগণের মাঝে ঘুরতে দেখা যাচ্ছে। এদের মধ্যে যাদের পজিটিভ রিপোর্ট আসছে তারা তখন আইসোলেশনে গেলেও এর আগেই এদের অনেকেই ছড়িয়ে দিচ্ছে ভয়াবহ এই ছোঁয়াছে রোগ। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৩টি ওয়ার্ড লকডাউন করা হলেও সংক্রমণ রোধের তেমন পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হচ্ছেনা বলেই অভিযোগ সংশ্লিষ্ট এলাকার সচেতনমহলের। এরই মধ্যে আসছে কোরবানির ঈদ।