স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরে করোনা পরিস্তিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। পৌর শহরের আরও ১০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এ দিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬৪ জন। শুক্রবার আর কেউ সুস্থ্যতা পাননি। ফলে সুস্থ্যতার সংখ্যা পূর্বের মতোই ২শ ১২ জনই রয়েছেন।
শুক্রবার (১৭ জুলাই) চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বাস্ব্য বিভাগের হাতে ৩০ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। এর মধ্যে ১৬ জনের নেগেটিভ হলেও পজিটিভ ১৪ জনের। এর মধ্যে ১০জনই চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের বিভিন্ন মহল্লার। চুয়াডাঙ্গা শহরের যে ১০জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে তাদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র বড়বাজারের ৩জন। পুরাতন হাসপাতালপাড়ার ১জন, গুলশানপাড়ার ১জন, সাতগাড়ির ১জন, ইসলামপাড়ার ১জন, ফেরিঘাট রোডের ১ জন, ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ডপাড়ার দুজন। ১৪ জনের মধ্যে বাকি ৪জন্ই দর্শনার। দর্শনা কেরুজপাড়ার ১ জন, পুরাতন বাজারপাড়ার ২জন ও শ্যামপুরের ১ জন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের ফেরিঘাটপাড়ার বাসিন্দা চুয়াডাঙ্গা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আসাদুল হোসেন লেমন করোনা উপসর্গ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার পথে মারা যান। তার পরিবারের কয়েকজনের নমুনা শুকবার সংগ্রহ করেছেন স্বাস্থ্য বিভাগ। একই দিন বাদ জোহর নামাজে জানাজা শেষে স্বাস্থ্য বিধি মেনে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। একইএলাকার আরও বেশ ক’জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা জেলায় মোট আক্রান্তের মধ্যে সুস্থ্য হওয়া ২১২ জন বাদে বাকিদের মধ্যে মাত্র ১৮ জন সদর হাসপাতাল আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন। বাকি সকলেই নিজেদের বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন। অবাক হলেও সত্য যে, বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নেয়া অনেকেই নিজেদের কাজে জনগণের মাঝে মিশে কাজ করছেন। চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিতেও দেখা গেছে।
প্রসঙ্গত: চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত হয়ে জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ফেরদৌসওয়ারা সুন্নাহসহ মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ জনে। উপৃসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও তিনজন। এদের মধ্যে দুজনের রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আসাদুল হোসেন লেমনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট শুক্রবার পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিভাগের হস্তগত হয়নি।