চুয়াডাঙ্গার যাদবপুরের প্রবাসীর স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যার মূলহোতাকে আড়াল করার অভিযোগ

স্টাফ রিপোটার: চুয়াডাঙ্গার যাদবপুরে কুয়েত প্রবাসীর স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যার ঘটনার মূলহোতাকে আড়াল করা হচ্ছে বলে ওই এলাকার মানুষের মধ্যে ব্যাপক গুঞ্জন উঠেছে। এলাকাবাসীর দাবি, হত্যাকা-ে ব্যবহৃত ছুরিটির ফিঙ্গার প্রিন্ট নিলেই আসল হত্যাকারীকে চিহিৃত করা সম্ভব হবে। এছাড়া জেসমিন খাতুন ওরফে আয়না খাতুনের মোবাইল ফোনের কললিস্ট যাচাই বাছাই করলেই পরকীয়া প্রেমিকের ঠিকানা বের করা সম্ভব হবে বলেও অনেকের ধারণা তাদের।
এলাকার অনেকেই বলছেন, জেসমিন খাতুন ওরফে আয়না খাতুন তার স্বামী হাবিবুর রহমান হাবিলের কুয়েত থেকে পাঠানো টাকাই বা কার নিকট দিতো? কার সাথেই বা নতুন করে সম্পর্কের জালে বন্দী হন আয়না? এমন প্রশ্ন এখন এলাকাসীর মুখে মুখে। পুলিশ আন্তরিক হলেই সেটাও বের করা সম্ভব। এদিকে, গত বুধবার দুপুরে জেসমিন খাতুন ওরফে আয়না খাতুনের মরদেত ময়নাতদন্ত করা হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে। পরে তার নিজ গ্রামে রাতে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
এলাকাবাসীসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নতুন যাদবপুরের কুয়েত প্রবাসী হাবিবুর রহমান হাবিলের স্ত্রী জেসমিন খাতুন ওরফে আয়না খাতুনের গত ৫ বছর আগের পরকীয়া প্রেমিক একই গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে মামুনকে হত্যাকা-ের ঘটনায় প্রধান আসামি করা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে তার সহযোগী একই গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে রাব্বিকে।
দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে ওই এলাকার একাধিক ব্যক্তি দৈনিক মাথাভাঙ্গা অফিসে ফোন করে জানিয়েছেন, জেসমিন খাতুন ওরফে আয়না খাতুন পুরাতন প্রেমিকের সাথে তেমন কিছু না থাকলেও গ্রামেরই (র) নামের এক ব্যক্তির সাথে পরকীয়ায় নতুনভাবে জড়িয়ে পড়েন। তার স্বামীর পাঠানো টাকাও তার কাছেই দিতেন তিনি। খুন হওয়ার দিন কেনই বা রাব্বি ঘুমের ওষুধ মেশানো শরবত খাওলো? এছাড়া মামুনের সাথে রাব্বির ছিলো বিরোধ। এই কারণেই কি রাব্বি, মামুনকে ফাঁসাতে পুলিশের নিকট এমন তথ্য দিয়েছে? এছাড়া (র) একজন জনপ্রতিনিধির লোক বলে এলাকাবাসী তার ভয়ে মুখ খুলতে চাচ্ছে না। জেসমিন খাতুন ওরফে আয়না খাতুনের স্বামী বাড়িতে আসছে এই কারণেই পরকীয়া প্রেমিকের নিকট কি অর্থ ফেরত চাওয়া ও মোবাইল সিম পরিবর্তন করাই কি কাল হলো? এমন নানা প্রশ্নের দানা বেধেছে জনসাধারণের মনে। পুলিশের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমেই বেরিয়ে আসবে হত্যাকা-ের প্রকৃত রহস্য। তাই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

Comments (0)
Add Comment