স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় ঘরে ঘরে স্বর্দি কাশি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ফলে করোনা সন্দেহে নমুনা দেয়ার সংখ্যাও বেড়েছে। একই সাথে বেড়েছে করোনা রোগী সনাক্তের সংখ্যাও। মঙ্গলবার (২১ জুলাই) চুয়াডাঙ্গার আরও ৬১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া পরীক্ষাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। সোমবার ৭৫ জনের নমুনা প্রেরণ করা হলেও মঙ্গলবার তার একটিরও রিপোর্ট চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে আসেনি। ফলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া আলমডাঙ্গা রথতলার গৌরচন্দ্র বিশ্বাস করোনা আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা জানা সম্ভব হয়নি।
চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগসূত্র বলেছে, নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টের জন্য কুষ্টিয়ায় যোগাযোগ করা হলে সেখান থেকে বলা হয়েছে, মেহেরপুর ও কুষ্টিয়াসহ অন্যান্য জেলার নমুনা পরীক্ষা করে তার ফলাফল মঙ্গলবার প্রেরণ করা হলেও চুয়াডাঙ্গার ক্ষেত্রে তা সম্ভব হয়নি। তবে বুধবার বেশি সংখ্যক পরীক্ষার রিপোর্ট প্রেরণের চেষ্টা করা হবে। এদিকে চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, মঙ্গলবার আরও ৯জন সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ দিয়ে জেলায় মোট সুস্থ হলেন ২শ ৪৭ জন। বাকি আক্রন্তদের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে রয়েছেন ৪৫ জন। হোম আইসোলেশন তথা নিজ নিজ বাড়ি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১শ ৪৬ জন। মঙ্গলবার বিকেলে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তি গৌরচন্দ্র বিশ্বাস চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা শহরের রথতলার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি জতিচন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে। পারিবারিকসূত্র জানিয়েছে, গৌরচন্দ্র বিশ্বাসের বয়স হয়েছিলো আনুমাকি ৬০ বছর। তিনি কয়েকদিন ধরে স্বর্দি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। সোমবার (২০ জুলাই) আলমডাঙ্গা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তথা হারদী হাসপাতালে তিনি করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। নমুনা দেয়ার পর ওইদিনই সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। তাকে হলুদ জোনের আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিলো। তার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে আসার আগেই মারা গেলেন তিনি। চুয়াডাঙ্গায় এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ৬ জন। উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও তিন জন।
প্রসঙ্গত: চুয়াডাঙ্গায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পাওয়ায় চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ৩টি ওয়ার্ড রেডজোন ঘোষণা করে লকডাউন করা হয়েছে। শহরের প্রায় প্রতিটি মহল্লাতেই ছড়িয়েছে মহামারি করোনা ভাইরাস।