স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গার আঠারখাদার আজিজুল হক গত ১৪ আগস্ট মুন্সিগঞ্জ পশুহাট থেকে ১৭ লাখ ৬০ হাজার টাকায় পাঁচটি গরু ক্রয় করেন। পরদিন গরুগুলো মিনি ট্রাকযোগে তার নিজস্ব মালিকানাধীন নারায়ণগঞ্জ জেলার কাঁচপুরে নাবিল এগ্রোতে পাঠান। এরপর থেকেই গরুসহ ট্রাকের হদিস মেলেনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। পরে ভুক্তভোগী আজিজুল ইসলাম আলমডাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপরই থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করে।
পুলিশ জানায়, জিডির পরই পুলিশ গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি তদন্ত শুরু করে। গত ২০ আগস্ট থেকে ২৪ আগস্ট টানা চারদিন তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় প্রথমে ঢাকা সাভারে অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হয়। ট্রাক চালক বারবার লোকেশন চেঞ্জ করতে থাকেন। পরে চট্টগ্রামের সীতাকু- থেকে মফিজুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই জেলার সীতাকু-, হাটহাজারীসহ বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে তিনটি গরু এবং দুটি বিক্রি হওয়া গরুর ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া আটক চট্টগ্রামের সীতাকু- থানার পূর্ব মুরাদপুর গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে আজমল হোসাইন মাসুদের (৪৮) দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই মাগুরা থেকে মিনি ট্রাকটি জব্দ করা হয়।
অভিযানটির দিকনির্দেশনা দেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন। আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথের নেতৃত্বে উপ-পরিদর্শক (এসআই) শেখ হাদীউজ্জামানসহ সঙ্গীত ফোর্স অংশ নেন।
আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, টানা চারদিন শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান চালিয়ে সফল হয়েছি। আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ গরুহাট থেকে পাঁচটি গরুসহ একটি মিনি ট্রাক মিসিং হয়েছে বলে থানায় একটি জিডি করেন নাবিল এগ্রোর মালিক আজিজুল হক। এরপরই আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত শুরু করি। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে ঢাকা সাভারে অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হই। পরে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩টি গরু উদ্ধার করা হয়। এছাড়া দুটি গরু বিক্রির নগদ ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করি। এঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই মাগুরা জেলা থেকে মিনি ট্রাকটি উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানে পরবর্তী আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।