আলমগীর হত্যা মামলায় গ্রেফতার স্বামী-স্ত্রীকে আদালতে সোপর্দ
স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গার খাদিমপুরের আলমগীর হোসেন হত্যার প্রধান অভিযুক্ত শিপন আলী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি। গতকাল রোববার শিপন ও তার নববধূ ইভা খাতুনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এদিকে, হত্যার ঘটনায় জড়িত সাকিব নামের আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতপরশু আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার ঘটনায় তার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। গ্রেফতার সাকিব আলী আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর গ্রামের ইকতার আলী বিশ্বাসের ছেলে।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি আলমগীর কবির বলেন, আলমগীর হত্যা মামলার প্রধান আসামি শিপন আলী শনিবার রাতে আলমডাঙ্গা আমলি আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। শিপন বলেছে, ‘সাকিবের মায়ের সাথে পূর্ব বিরোধের জেরে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। হত্যার পর লাশ গুম করার জন্য শিপন, সাকিবসহ কয়েকজন মিলে পুকুরের কচুরিপানার নিচে আলমগীর হোসেনের মরদেহ লুকিয়ে রেখে চলে যায়। ওসি আরও বলেন, শিপনের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতেই খাদিমপুর গ্রাম থেকে নিহত আলমগীর হোসেনের চাচাতো ভাই সাকিবকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় আলমগীরের ব্যবহৃত মোবাইলফোনটি উদ্ধার করা হয়। শিপনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যার সাথে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
নিখোঁজের ৫৬দিন পর গত শুক্রবার সকালে উপজেলার খাদিমপুর গ্রামের একটি পুকুরে কচুরিপানার নিচ থেকে গ্রামের কাতব আলী বিশ্বাসের ছেলে আলমগীরের গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় আলমগীর হোসেনের বড় ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন বিশ্বাস ওই রাতেই আটজনের নাম উল্লেখ করে আলমডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। একইদিন রাত ১১টার দিকে আলমগীরের বন্ধু একই গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে প্রধান সন্দেহভাজন শিপন আলী ও তার নববধূ ইভা খাতুনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।